আকস্মাৎ শান্তিনিকেতনে
আক্রান্ত পাখির মতো ঘুরে ঘুরে বিপুল রোদনেচিত্রাঙ্গাদার কন্ঠে এই আর্ত গান।একি শুধু নাটমঞ্চে ক্ষণিকের খণ্ডদৃশ্যসম্পূর্ণ
কবি পূর্ণেন্দু পত্রীর আমিই কচ আমিই দেবযানী কাব্যগ্রন্থটি ১৯৭৭ সালে প্রকাশিত হয়।
আক্রান্ত পাখির মতো ঘুরে ঘুরে বিপুল রোদনেচিত্রাঙ্গাদার কন্ঠে এই আর্ত গান।একি শুধু নাটমঞ্চে ক্ষণিকের খণ্ডদৃশ্যসম্পূর্ণ
আমারই ভুলেআজ প্রত্যুষে সুর্য ওঠেনি, পাঁশুটে আকাশে আলোর আকালআমারই ভুলেমুর্ছিত মেঘ, খোঁপা-ভাঙা চুল, জলে একাকারসম্পূর্ণ
পুরুলিয়ার জন্য এখন সবচেয়ে জরুরী মেঘবাঁকুড়ার জন্য সবচেয়ে জরুরী বৃষ্টিআর আমার ভাঙা দেরাজের জন্যসেই রমণীরসম্পূর্ণ
দাঁতে কামড়িয়ে কে খেয়েছে চাঁদ?সন্ধেবেলায়?মহাশুন্যের ছড়ানো টেবিলেপড়ে আছে যেন ছিরিছাঁদহীন ভাঙা বিস্কুট।কে খেয়েছে চাঁদ?ক’দিন আগেওসম্পূর্ণ
দেবতা আছেন কোথাও কাছাকাছিপায়ের চিহ্ন বনেবনের চিহ্ন তারঁই তুলির টানসরল রেখাঙ্কনে।জানি না ঘর বসত-বাটী ডেরাআছেনসম্পূর্ণ
ধুপকাঠি বেচতে বেচতে কতদুর যেতে পারে একাকী মানুষ?তাকে তো পেরোতে হবে বহু বন, বহু অগ্নিসম্পূর্ণ
ওপারে আমার ডিঙি পড়ে আছে, এপারে জল।অনর্গলপাতা ঝরে পড়ে। বৃদ্ধ বটের দীর্ঘশ্বাসমেটে আকাশকালো থাবা নাড়ে,সম্পূর্ণ
সবুজ পাতায় প্রথম মাখালে চুনআট-পহরের ঘাঁটা বিছানায় ধপ ধপে সাদা চাদরতারপর সেই সাদা চাদরে জাঁতিকাটাসম্পূর্ণ
আমরা যেখানে বসেছিলামতার পায়ের তলায় ছিল নদীনদীতে ছিল নৌকাআর দূরে একটা বিষন্ন জাহাজ।আমি যখন তোমারতুমিসম্পূর্ণ