মইষালী রোদ, শিঙের ভেতর তার অজন্তা- ইলোরা থাকে
কোন এক রজকিনী মৃত নদীর ভেতর ডেকেছে আমাকে।
পাললিক দেহে তারা জনপদ ফাঁকা করে গড়েছে দোয়ার
সাদা পাড়ে নদীঘাট ঝাপসা রোদের তেজে
পুড়ছে খোয়াব।
মনে পড়ে তাম্রলিপ্তি– নাবিকের মনছোঁয়া ষোড়শী শরীর
এলোপায়ে হেঁটে যায় ; নদীমনা দিনগুলো রেখে গেছে নীর
কাঠের মাস্তুল দেখে কুঁড়ে-ডেরা বাঁধা কোন অচেনা বিঁভুই
দেবোপম লবডঙ্কা– আজিকার তুমি সেই স্মৃতিভেজা জুঁই।
মইষালী রোদ আসে হাতে নিয়ে পুরুষের সনাতন মন
গঙ্গারিডি মুছে গেছে–ধোঁকার প্রাচীন রীতি
রযেছে তেমন।
ছোঁয়াচে প্রেমের দায়ে মনমরা মানুষেরা নদীবন্তি হয়ে
কিছু গেছে জলে ধুয়ে, আমাদের প্রেম হয়ে কিছু গেছে রয়ে।