জীবনের ঢোল
— পংকজ পাল
আমি দাঁড়িয়ে আছি,
ঝুলে আছি অদৃশ্য দড়ির ঘুঙুরে।
ঘোড়ায় চড়ে পৌঁছে যাই
একটি নামহীন দ্বীপে,
যেখানে বাতাস নিজের ছায়া বুকে নিয়ে হাঁটে।
চিঠিহীন ডাকঘরের মতো,
পতাকার পিঠে জমে থাকা বৃষ্টির শূন্যতা,
স্বপ্নের পাখিরা ডানা মেললেই
শিরায় বেজে ওঠে নরম ঝড়ের বাঁশি।
কোনো কোনো রাতে,
ক্লান্ত তারারাও এসে বসে থাকে
হাড়ের চৌকাঠে—
তারা শোনে, কেমন করে বুকের ভেতর
শব্দরা জন্ম নিতে চায়, নাম খুঁজে পায় না।
হেঁটে যাই আলোহীন জলধারারের উপর,
ভেসে যাই শান্ত খেয়াঘাটের দিকে;
একদিন হয়তো রূপালি কুয়াশার গর্ভ থেকে
বেরিয়ে আসবে উজ্জ্বল কণ্ঠের তরী ,
যেখানে “আমি”র শ্বাসে, “আমরা”র রক্তে
একই ছন্দে বেজে উঠবে জীবনের অবিরল ঢোল।