লাউয়ের ডগার জিজ্ঞাসা
শুুধু হলো দেয়া-নেয়া আর
কতই হিসেব বরাবর,
ভিতরে যে সে অগাধ ফাঁকি
বাহিরে কেবল মিথ্যাচার!সম্পূর্ণ
অপেক্ষা করো,ওরা আসবে
তোমরা কৃষক,তোমরা দিনমজুর
খেটে খাওয়া নগণ্য মানুষ
তোমাদের কতটুকু বা চাওয়া থাকতে পারে শুনি
কতটুকুন বা ইচ্ছে হয়,
তোমাদের চাওয়া হবে ভাত-কাপড়ে তাতেই যেন লজ্জা ভয়
তোমাদের স্বপ্নগুলো ডানাকাটা এই খড়ের ছাউনির বাইরে নয়
বলি,যতটা ওদের সয়!
বিচ্ছেদের এতোবছর পরেও
এ কী মেঘের পলক,এ কী
শোকের শাঁকোয়,
এ কী দুরুদুরু বুক,ঘর্মাক্ত শরীর,
বাহির কালো।সম্পূর্ণ
জীবন
চোখের ইশারাতেই বুঝি
পেছনের স্মৃতিটুকু শুধুই সম্বল…
কোন এক অভিশাপে পড়ে আছে এখনো জীবন!
ফুটন্ত আগ্নেয়গিরি
ইচ্ছে সত্ত্বেও বিকল দেহটা বড়ই নিরুপায় আজ
ক্ষমা চাইবারও প্রহর এলোনা বুঝিই আর এ জীবনে।সম্পূর্ণ
অন্তর দৃষ্টিতে দেখো
আরেকটু ভালো করে অন্তর দৃষ্টিতে দেখো-
দেখবে কেবল সাড়ে তিন হাত মাটি কিংবা চারটি খুঁটি।সম্পূর্ণ
“শিউলি,বকুল”
পেছনে ঝোপের কাছে ‘শিউলি’ ঘুমিয়ে
ছড়িয়ে ছিটিয়ে থোকথোক রক্ত,
‘বকুল’ তখনো ভাষাহীন,জবুথবু,চোখ বন্ধ
আর সেই থেকে সারাবাড়ি অন্ধ।সম্পূর্ণ
শুধু তুমি কাছে এলে
হাসিমুখে আমি
সব পারি ফেলে
এক মুহূর্তে উড়াল দিতে
শুধু তুমি কাছে এলে।সম্পূর্ণ
এই বুঝি তুমি এলে!
কথা ছিলো,বন্ধু
কথা ছিলো একদিন আসবেই তুমি আসবে,আমার
হয়ে,একান্তে আমার হয়েই,আমার
খোলা জানালায় ঝিরিঝিরি বাতাস কিংবা
ভোরের শিশির সঙ্গী করে,