অমূল্য অলঙ্কার আর বিশাল ধন-সম্পদে
অধিকারী এখন তিনি।
অবশেষে সিন্দাবাদ তার নিজের দেশে
জন্মভূমিতে।
আনন্দের বন‍্যায় কেঁপে উঠে বাতাস-আকাশ
আরব‍্য রজনীর ভারে নুয়ে পড়ে বিশ্ব
ভীতু মানুষেরা যদিও বরাবর সমালোচনায়।

তারপরও সিন্দাবাদদের যাত্রা থেমে থাকেনি আজো।
অজস্র সিন্দাবাদ স্বয়ং লালন করছি আমি।
তেমনি আরব‍্য রজনী আজো জীবন্ত।সম্পূর্ণ

মনে রেখো-
যে বাড়িতে তর্কের ঝড় উঠেনি কোনোদিন
বৃষ্টিতে ভিজে ফিরে এসে আবারো
মেতে উঠতে হয়নি বিশ্রী বাক‍্যালাপে
এখানে-
মিষ্টি আলাপচারিতায় সবচেয়ে সুখী
মাকে নিয়ে অপেক্ষা করছে একজন
এমন একজন
শুধুমাত্র একজন।
যার ধৈর্য্য বাড়ছে কেবলি বাড়ছে
ক্রমশ অধীর-আকূল হয় অন্ধকারে।সম্পূর্ণ

নিদ্রিতাকে একদিন নিশ্চয়ই জানাব,
সুন্দরবনে একটা হিঃস্র বাঘের
আশু প্রয়োজন।
রয়েল বেঙ্গল টাইগার যদি একটা
পোশাকের আবদার রাখে তুমি কী
করবে নিদ্রিতা?
আমি বলব- পাবে
তুমি বলে উঠবে,
সামঞ্জস্যপূর্ণ হয় যেন।সম্পূর্ণ

তুমি বলবে মাটি, পানি, বায়ু ও আগুনের
ভুল বিশ্লেষণ?
আমি বলবো প্রথম আগুন আবিষ্কারে
ভালোবেসে ফেলেছিলাম তোমাকে!
আদিম মানুষের আদিমতা ভেদ ক’রে
উঠে যেতে থাকি ক্রমশ তোমার
পায়ের আঙুল-নখ-ঊরু;
নিতম্ব-কোমরের লাজুকতায় ছুঁয়ে দিয়েছি
নাভিমূল স্পর্শে শিহরিত হয়েছিলাম।সম্পূর্ণ

এই যেমন ধরো ভোটের পনেরো দিন
পূর্বে জনগণ আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যায়!
কাঁপা কাঁপা কণ্ঠে সদ‍্য জেগে উঠা
ঝলমলে ভাইজান হঠাৎ বলে উঠলেন
—- এসো ন‍্যাপ করি।
আর আমিও তা নিদ্রিতাকে বলতে দ্বিধা বোধ করিনা।সম্পূর্ণ

ছুঁয়ে দেখেছি আম্রকাননে মৌমাছির গুঞ্জরণ
দেখেছি ছুঁয়ে বিখ‍্যাত শহরের পরিচিত লেক
তোমার আগমন বার্তা শুনে।
সূর্যদীঘলবাড়ির কাছাকাছি পৌঁছে যাব কোনো একদিন
যেখানে ঘটবে গগনবিদারী ভালোবাসার দুর্ভিক্ষ
কোথাও ঠাঁই না পেয়ে অবশেষে আমাদের অবস্থান
ঘটবে ঐ সূর্যদীঘলবাড়িতেই।সম্পূর্ণ

বুলেটের সুতীব্র আওয়াজ কানে বাজে সহসা
দেখেছি লেজুড়বৃত্তির আর্মি-পুলিশের মহড়া
যত্রতত্র সেনা ক্যাম্প আর টর্চারে জর্জরিত কমরেড
পিষে দিয়ে গিয়েছিল আমাদের সহস্রবার
অজস্র যুদ্ধ ট্যাংক।
ভেঙে গেছে আবারো বুকের পাঁজর রাবার বুলেটে
লাঠিচার্জে হারিয়েছি সহযোদ্ধা, কাঁদানে গ্যাসে হেসেছে রুমন।সম্পূর্ণ

জানো নিদ্রিতা-
হরতালে শুধু একটা জিনিসই খুলতে দেখা যায়
সেটা এটিএম বুথ।তার মধ‍্যে একটি
তোমার-আমারও হতে পারতো।
যেমন হতে পারতো জান্নাতুল বাকির একটি সাজানো ফুলের উদ‍্যান
অবাধ বিচরণের
যেখানে সহসাই জলকেলী খেলেছে বেহেশতি হুরেরা;
পুষ্পমাখা হলদে রঙ মেখে।সম্পূর্ণ

কোনো এক রূপোলী বিকেলে গান ছেড়ে
উচ্চাঙ্গ সংগীতের চর্চায় মশগুল হলেম সকলে-
আমি বলেছিলাম- আমার দৌড় ঐ নচিকেতা পর্যন্তই।
নিদ্রিতা বলেছিল- আমি শুধু শ্রেয়া ঘোষাল।
সবাই হেসেছিল; সজোরে সবাই হেসেছিল।
সভায় কথা উঠেছিল, একজন সাধুপুরুষ ক্ষমতায় বসলে
তারও সমালোচনা ক’রে ছেড়ে দেবে কি জনতা?
আমি মাওলানা ভাসানীর মতো বললাম, হয়তো তাই।
সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধবে ব’লে।সম্পূর্ণ