যেভাবে সে এলো
অসম্ভব ক্ষুধা ও তৃষ্ণা ছিলো,সামনে যা পেলো খেলো,যেন মন্বন্তরে কেটে যাওয়া রজতজয়ন্তী শেষেএসেছে সে, সবকিছুসম্পূর্ণ
হেলাল হাফিজ বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয়তম আধুনিক কবি। তিনি ১৯৪৮ নেত্রকোনায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৫ সালে নেত্রকোনা দত্ত হাইস্কুল থেকে এসএসসি এবং ১৯৬৭ সালে নেত্রকোনা কলেজ থেকে তিনি এইচএসসি পাস করেন। ওই বছরই কবি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে ভর্তি হন। ছাত্রাবস্থায় ১৯৭২ সালে তৎকালীন জাতীয় সংবাদপত্র দৈনিক পূর্বদেশে যোগদান করার মাধ্যমে তার সাংবাদিকতা জীবনের শুরু হয়। ১৯৮৬ সালে প্রকাশিত তার কবিতার বই ‘যে জলে আগুন জ্বলে’ প্রকাশিত হয়।
অসম্ভব ক্ষুধা ও তৃষ্ণা ছিলো,সামনে যা পেলো খেলো,যেন মন্বন্তরে কেটে যাওয়া রজতজয়ন্তী শেষেএসেছে সে, সবকিছুসম্পূর্ণ
ছিল তা এক অগ্ন্যুৎসব, সেদিন আমিসবটুকু বুক রেখেছিলাম স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্রেজীবন বাজি ধরেছিলাম প্রেমের নামেরক্ত ঋণেসম্পূর্ণ
ভালোবেসেই নাম দিয়েছি ‘তনা’ মন না দিলে ছোবল দিও তুলে বিষের ফণা।সম্পূর্ণ
নখের নিচেরেখেছিলাম তোমার জন্য প্রেম, কাটতে কাটতেসব খোয়ালাম বললে না তো, – ‘শ্যাম,সম্পূর্ণ
যুক্তি যখন আবেগের কাছে অকাতরে পর্যুদস্ত হতে থাকে, কবি কিংবা যে কোনো আধুনিক মানুষের কাছেসম্পূর্ণ
দুরভিসন্ধির খেলা শেষ হয়ে কোনোদিন দিন যদি আসে, এই দেশে ভালোবেসে বলবে মানুষ, অনন্বিত অসন্তোষসম্পূর্ণ
আছি। বড্ড জানান দিতে ইচ্ছে করে, – আছি, মনে ও মগজে গুন্ গুন্ করে প্রণয়েরসম্পূর্ণ
তুমি কি জুলেখা, শিরী, সাবিত্রী, নাকি রজকিনী? চিনি, খুব জানি তুমি যার তার, যে কেউসম্পূর্ণ
আমাকে উস্টা মেরে দিব্যি যাচ্ছো চলে, দেখি দেখি বাঁ পায়ের চারু নখে চোট লাগেনি তো;সম্পূর্ণ
যদি যেতে চাও, যাও আমি পথ হবো চরণের তলে না ছুঁয়ে তোমাকে ছোঁব ফেরাবো না,সম্পূর্ণ