সুবাস নেই ফুলে, স্বাদ নেই ফলে, কোমলতাও কমে গেছে মায়ের কোলে, ভুলে গেছে মাতৃরূপ,
আপন পর স্বার্থপর, সম্পর্ক সব ফাঁকি, মেকি মিছে, পৃথিবীটাই বদলে গেছে, নিত্য মধুর মৃত্যুকূপ।সম্পূর্ণ

প্রেম হয় সৃষ্টির সাথে সৃষ্টির, সৃষ্টির সাথে স্রষ্টারও।
বরং এটাই সর্বশ্রেষ্ঠ প্রেম।
হে প্রেমহীন হৃদয়, প্রেমিক হও,
প্রেম হোক সমস্ত সৌন্দর্যের প্রতি, সমস্ত সৃষ্টির প্রতি, শাশ্বত স্রষ্টার প্রতি।সম্পূর্ণ

যুদ্ধ শেষ হয়ে যাবে একদিন, শেষ হবে এই মহামারী বোমার মিছিল,
এ’ ধ্বংসের প্রতিযোগিতাও শেষ হবে একদিন, শান্ত হবে বিশ্ব নিখিল।
আহা যুদ্ধ!
আহা জীবন!
আহা স্বাধীনতা!!সম্পূর্ণ

হে প্রশান্ত আত্মা,
নয়তো ব্যর্থ হয়ে যাবে, মূল্যহীন হয়ে যাবে,
বিফলে যাবে তোমার যতো ধ্যানজ্ঞান, কর্মযজ্ঞ।
অতএব, নিরাময় খোঁজো, তুমিই নিরাময়ের মহৌষধ।
তুমি নিজেই নিরাময়ের মহান অভিযাত্রী।সম্পূর্ণ

দিয়ো হৃদয়ের পরিধিময় আস্ত বিস্তর একটা গোলাপ বাগান গড়ে,
বরং মৃত্যুর রঙ নিয়ে প্রতিটা গোলাপ ফুটুক গোটা আঙিনাজুড়ে।সম্পূর্ণ

সবই পাক, মন নাপকের ঘূর্ণিপাকে নমাজের ইমামাত, সমাজের ইমামাত।
দুনিয়ার তালাশিতে দিননিশীতে দিশেহীন, কেমনে দিবে দ্বীনের ইকামাত!
এমনি হলে কেমনি পাবে এই জগত জীবন মানুষজন এক আল্লাহর হুকুমাত!
অনল জ্বলে, কলিজা পুড়ে, যন্ত্রণায় বুক ভেঙে যায়, আলামতে ক্বিয়ামাত।সম্পূর্ণ

গায় পাথরের মাথায় বসে।
মুয়াল্লার আলোয় নিভু নিভু আমি বারংবার চাই-
এভাবে ভেসে ভেসে হেসে যেতে,
আচমকা মিষ্টি বৃষ্টির সৃষ্টি হলে ভিজে যাবো-
একমনে জমিনে দেহ বুক পেতে।সম্পূর্ণ

গোটা মানবকূল, ঠেলে দলে প্রতিকূল সঙ্কুল, ব্যাকুল মরিয়া,
যেনো পায় রহমান, রহীমের রহম, ভরে যায় দু’কূল, সুখ দরিয়া।
এ’রাতে পাল্লা ভরাতে পূণ্যে, করাতে কাটা পাপ, দীর্ঘ দীর্ঘ রজনী,
অসুস্থ অসহায় অবলা কেবল মুমিনের কান্নায় সুরে সরব ধরণী।সম্পূর্ণ

বারুদ এসে শাসন করা মানুষের ‘বাস, জীবন সঙ্কুল,
গোলায় গোলায় গোলমেলে কী এক অদ্ভুত আঁধার,
আকাশ বাতাস ভারী হয়ে ওঠা নিষ্ঠুর ভীষণ ক্রন্দনরোল,
চোখে-মুখে অনন্ত হতাশা, এক রাশ মুমূর্ষু হাহাকার।সম্পূর্ণ

এক বুক উথাল সাগর, দু’চোখে বরফ জমা নদী, শতো সহস্র-
জ্যৈষ্ঠখরার বিস্তৃত ভরা তৃষা নিয়ে কাঁপছে নাপাক ওষ্ঠদ্বয়।
সুদীর্ঘ একটা চুমুর স্বাদে বিষদ শুদ্ধ বিমুগ্ধ হতে দিবারাত-
দু’হাত তুলে বসে আছে এই রিক্ত শূন্য বিদগ্ধ ভাঙা হৃদয়।সম্পূর্ণ

আমাকে ভাসিয়ে নাও প্লাবন যেমন, চুবিয়ে শীতল করো অতলে ঢেলে,
আবারও প্রাণ ফিরে আসুক জরাখরা দুঃখভরা আধমরা কঙ্কালে।
আমাকে ভিজিয়ে রাখো আগাগোড়া পোড়া শরীর, আত্মার ভেতর
নিমিষে পিষে যাক পঙ্কিলতার দৌরাত্ম্য, আত্মার শুদ্ধতায় কালে কালে।সম্পূর্ণ

সাফার সফর শেষে মারওয়ার মেরু পেরুতেই
হৃদয়ের কন্দরে বেজে ওঠে আবেগের মৃদু সুর,
বেসুরো কণ্ঠে এ’গান গাইতে শুরু করলো জবান-
“আল্লাহুম্মা ছল্লি আলা মুহাম্মদ…..
আল্লাহুম্মা বারিক আলা মুহাম্মদ……” বুকে দুরুদুর।সম্পূর্ণ