কবিতাআলোর অপেরা – ১৭
কবিঅনন্য রায়
বিষয়রূপক
4/5 - (2 votes)

দিগন্তের সবুজ চাঁদ নিচু হয়ে চুমু খেলো
ধানক্ষেতের অবলুপ্ত ঠোঁটে;
গম্বুজের সৌগন্ধ বুকে বয়ে চলে নদী
ঝরাপাতার অবিরাম শব্দে আচ্ছন্ন করে নিজেকে।
সিল্কমসৃন স্বপ্নের দাঁতগুলো ক্রমশ তামাটে হয়।
আমার করতল থেকে জন্ম নিয়ে প্রজাপতি এবং ছাই
সেই বিশাল হাঁ-মুখে , অজানার গর্তে, লুকিয়ে যায়
অন্ধকারে- স্তব্ধতার অবয়বে।
জলপাই-অরন্যের প্রগাঢ স্তব্ধতা,
একট লম্বাটে ভাঙা মদের বোতল ও নিঃসঙ্গ গীটার,
কিছু নরখাদক নথিপত্র এবং ইস্পাত
সহসা ক্যাক্টাসের ঝড়ে উঠলো কেঁপে;
যখন জ্যামিতিক আয়নার চারপাশে
একঝাঁক পায়রা গেলো আচ্ছন্ন মেঘের মতো উড়ে ।
ঘুমোও অনন্য ! ঘুমোও ; কেননা রাত্রি বড়ো দীর্ঘস্থায়ী-
যতক্ষন-না তোমার ঘুম কমলালেবুর মতো হয়ে যায়
এবং কবরের ঘাসের মতো তোমার স্বপ্নগুলো চাঁদের সঙ্গে একাকার হয়ে যায়
এবং তোমার ঠোঁটের ওপর শ্যাওলা জমে,-
ঘুমোও তুমি, অবগুন্ঠিত বিস্মৃতির মতো,
যেখান দিয়ে লাক্সনপ্রাচীর ছুটে গেছে চূর্নবিচূর্ণ দ্রুতব্রম্ভান্ডের দিকে….
আর পরিদৃশ্যমান তোমার ব্রোঞ্জের বিশাল বিস্মৃতি
শ্বেতপাথরের খিলানের মতো তোমাকে করে দিক দীর্ঘ গোলাকার।
হাওয়া এখন তার পিচ্ছিল সবুজ আর্দ্র স্মৃতিচারনায়
মুড়ে রাখবে আমাকে
আর মূর্হূতের পর মূর্হূত- অনন্তকাল
অরেঞ্জ কার্পেটের ওপর পড়ে থাকবে আধখানা মৃত্যুভক্ষ্য রক্তিম আপেল!

Share
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments