ঘুম ভাঙে না ঘুমাতে ঘুমাতে,
ঘড়ির কাঁটা কেবল ঘুরে যায়—
আজও কোথাও যেতে হয় না,
কেউ বলে না— “তাড়াতাড়ি ওঠো, দেরি হয়ে যাবে।”
সারাদিন ঘরে সূর্য ঢোকে
কিন্তু তাতে কোনো উষ্ণতা নেই,
বেকারত্ব মানে—
জন্মগত চাওয়া আর রাষ্ট্রীয় অবহেলার এক অস্পষ্ট সংঘর্ষ।
সার্টিফিকেট গুলো ধুলোর আস্তরণে,
ফাইল কভারে বন্দী হয়ে পড়ে থাকে।
মায়ের মুখে বিস্বাদ দীর্ঘশ্বাস,
বাবার চোখে পরাজয়ের চুপচাপ ভাষা।
প্রতিদিন শুনি—
“তোর মতো ছেলেটা কিছু করতে পারলো না?”
কেউ শোনে না আমি কতোবার
ভুলে গেছি নিজের নাম
সাক্ষাৎকারের দরজায় দাঁড়িয়ে,
ফিরেছি শুনে —
“আমরা যোগাযোগ করবো আপনাদের সঙ্গে।”
বেকারত্ব মানে—
ভাত খেতে লজ্জা পাওয়া,
প্রেমে পড়লে পিছিয়ে আসা,
বন্ধুর চাকরির খবর শুনে
নিজেকে গিলে ফেলা— হাসিমুখে অভিনয় করে।
ফেসবুকের পোস্টে লিখি— “আনএমপ্লয়মেন্ট ডে”,
আর কমেন্টে পড়ে— “ভাই, নিজের কষ্টে গর্ব করো।”
আসলে কেউ বোঝে না
এ গর্ব নয়, এ স্থবির শ্বাস,
এ মনোবলের ভাঙন,
এ এমন এক যন্ত্রণা—
যার গায়ে চাকরির বিজ্ঞাপন সাঁটানো!