এই নশ্বর পৃথিবীতে সবাই চাঁদকে পছন্দ করে ভালোও বাসে
চাঁদের মায়ায় নিজেকে হারায় বহুবার
কত মানুষ মিছে হাত বাড়ায় চাঁদকে পাবার,
তবে এই চাঁদ কভু জ্বলে না নিজ থেকে
নিজেকে সাজায় সে সূর্যের আলো মেখে,
তবু আমরা সবাই সুন্দর বলি ধার করা সৌন্দর্য দেখে।
যেখানে সূর্য ও তার উত্তাপ ছাড়া দুনিয়া অচল
তবুও তাকে ঘৃণার চোখে দেখতে মানষেরা সর্বদাই অটল,
এতো ঘৃণা, অনিহা, অপমান পাবার পরও সূর্য চাঁদ এবং পৃথিবীকে দিয়ে চলেছে তার ভালোবাসা কিংবা উত্তাপ, বাড়িয়ে দিচ্ছে তাদের সৌন্দর্য, যোগ্য করে তুলছে তাদের ভালোবাসা পাবার
কভু ভাবে না সে নিজেকে নিয়ে, সর্বদাই সুখে থাকে ঘৃণার বিনিময়ে ভালোবাসা দিয়ে।
তেমনি বিশুদ্ধ প্রেমিকেরা হয় সূর্যের মতো স্বার্থহীন মানব, দুঃখ কখনো তাদের ছুঁতে পারে না
দুঃখের রূপ পাল্টে তারা পরিণত করে ভালোবাসায়
বিলিয়ে দেন প্রিয়জন, আপন-পর, শত্রু-মহাশত্রু নির্বিশেষে সকলের মাঝে
তারা ভালোবাসায় বাঁচে, তারা ভালো বাসতে জানে
শুধু পারে না কখনো কারো কিঞ্চিৎ ভালোবাসা পেতে
তাই বলে কি ভুলে যাবে সে ভালোবাসা দিতে।
আমিও সেই সূর্যের মতো বিশুদ্ধ প্রেমিক হতে চাই
পৃথিবীর সকল ঘৃণা গিলে খেতে চাই, সকল বিরহ পুড়িয়ে করতে চাই ছাই,
তাই রাঙিয়ে দিতে চাই ছায়াপথ, নেপচুন, মঙ্গল, বুধ, বৃহস্পতি, পৃথিবী চাঁদ কিংবা তোমাকে ভালোবাসার রঙে,
তোমাদের কাউকেই থাকতে হবে না আমার সঙ্গে
আমি না হয় একাই ভালোবাসার বিনিময়ে ঘৃণা অথবা দুঃখ কিনে নেবো
কেবল মাত্র তাহলেই তো আমি বিশুদ্ধ প্রেমিক হবো।