রাতের শরীর চিরে বেহালার সুর
বহুদুর গিয়ে ফেরত আনছে হাহাকার
বারবার ঘাসেদের ছুঁয়ে উড়ে যাচ্ছে সময়ের ঘুঘু
মশার উৎপাতের সমানুপাতিক নগর কর্তাদের নিরবতা
নতুন কিছু নয় এইসব বর্ণনা
অবহেলায় এড়িয়ে যাওয়াও নিয়মিত ঘটনা।
প্রলয় চারপাশে চলমান প্রণয়ের বদলে
অথচ তাই চেয়েছি চিরকাল; তবে
যে প্রলয়ে ভুলে যাবো বে-নূর দিনের স্মৃতি।
এরপর আলোর স্রোতে আবার খুলবে থিবীর পথ
দ্যাখো, ভবিষ্যদ্বাণী আমার কাজ নয়
কারামাতের সীমানা নির্ধারিত আকাঙ্খা অবধিই।
সাবানের ফ্যানার মতন মেঘ গোলাপি হয়ে যায় অকস্মাৎ
জানো পরিবর্তন আর অবাক করতে পারে না কিছুতেই
আমি তার ব্যর্থতার বাহানায় ব্যথিত হই নিজে
উপুড় হয়ে চিৎকার গিলি এগারো ঢোকে
এরপর শ্বাস নিতে ঘর থেকে বেরোলেই
দেখি মানুষের হাপরের বাতাসে আগুন জ্বলে উঠেছে
তোমার কৃপায় পাওয়া ব্যক্তিগত অনল নিয়ে হাঁটি
এ য্যানো যুদ্ধ; আমারই সাথে লড়াই চলছে আমার শেষমেশ অভাবের কাছে হেরে যায়
আমার অনল সিপাহি, দুঃখের তলোয়ার।
অভিষিক্ত পাঁচটি শুকনো পলাশ আর
একটি কবিতা বুকে নিয়ে আমি তীব্র ষড়যন্ত্রে ব্যস্ত
শরীর একটি গেঞ্জির আস্থায় রেখেছি
গেঞ্জিখানা আমার নয়
তারও আগে রাষ্ট্র নয় জনতার
এই কথা মনে পড়ে।
বেহালা যখন থেমে গ্যালো অশ্রুর বাধায়
মনে হয় যার জন্য কোলাহলে একা হাঁটছি এখন
সে কি কোনোদিন আমার কিংবা আমি তার হয়েছিলাম?
এসবের আগে আমার জানা দরকার—
প্রনয় বোঝো না জানি, প্রলয় বোঝো কি?
অভিষিক্ত পাঁচটি শুকনো পলাশ আর
একটি কবিতা বুকে নিয়ে আমি তীব্র ষড়যন্ত্রে ব্যস্ত
বেহালা আবার বাজছে, প্রলয় আসছে প্রিয়তমা।
আনছি আমিই একা কিংবা একত্রে নিশ্চিত।