তোমার লজ্জা আমার ঠোঁটে
কোলবালিশের পাশে একটি ভঙ্গুর ভূখণ্ড।
যখন মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যায় চোখ
শিশ্নের বিবেক হয়ে ওঠা লাজিম তখন
মাঝ বরাবর আগ্রহের ঘুড়ি ঘুরপাক খায়
জানো তো নফসের কারবার!
হে সুন্দর, হে আয়েশ, হে সাথী, ক্ষমা চাই
তোমার একান্ত লজ্জা ঠোঁটে রেখে
তোমাকে সঁপলাম বাহ্যিক সবই তবে তারপরও
পাশে একটি ভঙ্গুর ভূখণ্ড, তাঁরে দেশ বলে ডাকি
ঢাকি খুব কৌশলে তাঁর অসুস্থ মৃৎ।
দৃশ্যমান প্রতিটি রক্তের ফোঁটা আমার,
এই দূর্বল চাকা, এই অভাব সমস্তটাই।
অস্থির অচেনা বাতাস সেখানে প্রবাহমান
সে বাতাসে আগুন, আগুনে নিষ্পাপ কিছু মুখ আর মুখগুলোর দিকে চেয়ে দেখলেই মনে হয়
এর চেয়ে স্পষ্ট আয়নার সামনে দাঁড়াইনি কোনোদিন। অতঃপর সেদিকেই গেলাম।
তোমার লজ্জা আমার ঠোঁটে কিন্তু
নিজের দিকে যাওয়া ব্যতীত
কোনো এবাদতই জানা নাই সম্পূর্ণ।
আমি নিরুপায় আপাতত;
প্রতারক নাকি প্রেমিক একথা সময় জানাবে সময় করে।
অভিভূত হলাম…