আমি তো আনকমন সেন্সের ভেতর দিয়ে হেঁটে যাই খুব,
আকাশ, বাতাস, মাটি, ফুল-ফল,জল সবই হাঁটার পথ।
ইচ্ছে মাঠে চাষ করি আকাশের চেয়ে বড় অনুরাগ।
বাতাসের কাছে শিখি চিরদিন নিঃশ্বাস ধরে রাখার যৌবন।
…এবং মৃত্যুকে বলি বাহ্ এতো সহজে মুছে দিবে, জীবন?
প্রতি সেকেন্ডে আমি সচেতনভাবেই জীবনকে ধরতে চাই,
হাতে, ঠোঁটে রেখে চুমো খেতে চাই— হৃদয়,
জীবনকে অনুবাদ করি, কবিতায়।
ঝুরঝুরা মাটির ঘ্রাণ থেকে তুলে আনি, বিষাদের হাসি—
উর্বর জমিনে পড়ে আছে ভাষাহীন চাষা অভুক্ত কঙ্কাল।
ভরা সবুজের বুকে মরা চৈত্রের ডাহুক!
অতল সমুদ্রে করাত মাছের পাখনার তরঙ্গায়িত সফেনবেগ,
উপকূলে এসে ছুঁয়ে যায়, হৃদয়— সমুদ্রে ভাসমান ছায়া এসে,
কানে কানে বলে যায় একদিন, এই সমুদ্রে আমার পিতামহও
নৌকায় নৌকায় ভাসতেন কচুরিপানার মতোন।
ভালোবাসাময় অকৃত্রিম স্বর্ণপদক পাঠাই, ফুল
পথে পথে থমকে দাঁড়াই, চোখ—
অজানা সব ফুল চেয়ে থাকে, অন্তরঙ্গ বন্ধুর মতোন
পথে পথে ফুলেরা ফুটাই মাল্টিকালার কবিতা।
হয়তো আমি চলে যাবো মৃত্যুর ওপারে। যাপনটা তবুও
রেখে যাই পৃথিবীর কাছে,
ফুল-পাখি-পথ ও পৃথিবীর সকল জনপদ সাক্ষী।
যাকে আমি ভালোবেসে জেনেছি হৃদয়ের জীবন, সে আমার প্রেমিকা— দেখতে সে অধরা বোধের মতন।
আমার জীবনের একমাত্র গভীর সাধনা— বোধকে জানা।
আমার কাছে জীবনের স্পন্দনই একমাত্র আলোচ্য বিষয়।
তাই আমি
জীবনকে অনুবাদ করি কবিতায়।