ভোরের আঙিনাতে নবান্নের ধানের উড়ান
সাঁঝের ক্ষীণ আলো, চলে পাঠ ব্রম্মপূরাণ
জোছনায় ধূ ধূ বিলে দলবেঁধে হাডুডু-র দৌড়
স্মৃতিগুলো বিঁধে যায় বুক করে এফোঁড়ওফোঁড়।সম্পূর্ণ

তারপর আলো কিংবা অন্ধকার, কাছের কি দূরের কেউ, প্রিয় কি অপ্রিয় মুখ, প্রেম কি ঘৃণা কিছুই নেই। নেই অতীত, নেই ভবিষ্যৎ কিংবা ঘটমান বর্তমান বলে কিছুই। তাহলে কি থাকে তারপর? কেউ কি জানে এ কথার উত্তর? নিঃশ্বাস থেমে যাবার আগে যদি কেউ বলতে পারো, আমি নিঃশ্বাসের সাথে লড়তে লড়তে যা চাও এনে দেবো। যদি চাও একশো এক’টা নীল পদ্ম; তাও এনে দেবো।সম্পূর্ণ

নীল বিষে ছেঁয়ে আসে সমস্ত শরীর।প্রচন্ড ইচ্ছে জাগে কেউ একজন মাথায় হাত রাখুক। ঠোঁটের সামনে বাড়িয়ে দিক একগ্লাস শীতল জল, একটা গাঢ় চুমু খেয়ে বলুক, এই আমি শুষে নিলাম তোমার সমস্ত বিষ। ক্ষীণ হয়ে আসা দৃষ্টি ছাপিয়ে আবার দেখতে পাচ্ছি একটি সবুজ পাহাড়, সতেজ পাতায় মোড়ানো লতা, নীল আকাশের বুকে স্থির হয়ে থাকা সাদা মেঘ যেন তুলতুলে নরম এক সুখের শয্যা।
সম্পূর্ণ

অতঃপর ভেসে থাকা ফুলে হাঁসের ঠোকর
বৃন্ত টুটে, পাঁপড়ি টুটে, বোঁটাটিও টুটে যায়!
জলে ছিটাই হাহাকার, তাও করি শোকর
পুকুরের জলে রয়ে গেছে বুঝি ঘ্রাণসম্পূর্ণ

আমার বেঁচে থাকা আমার অধিকার
এ আমার ঈশ্বরের দান।
বিজয়ের পঞ্চাশ বছরে এই যে মাহেন্দ্রক্ষণ,
চারিদিকে আলোকসজ্জা
দিকে দিকে ভেসে আসা শিহরণ জাগা সুর,
কান ফাটানো তোপধ্বনি
অন্তরে অন্তরে জয়ের উন্মাদনা,তার অংশিদার আমিও।
এ আমার আজন্মের অধিকার!
সম্পূর্ণ

পুড়ে যাক চারপাশ,বয়ে যাক রক্ত গঙ্গা,যতো হানাহানি
খুনোখুনি।ধ্বংস হোক সব কিছু,তবু নিশ্চুপ রবে জানি
তবে কি নিশ্চিত অন্ধ! এ তুমি কাকে ভালবাসলে বলো
বাড়িয়েছি হাত,ভালবেসে অসীমের পানে উড়ি চলো।সম্পূর্ণ