বন্ধুর তব বন্ধু তুমি, আমার প্রাণের ধ্বনি
কন্ঠপাড়ায় উঠেছে আজিকে, অহরহ রনরণী
তোমার সে গান হয়েছে আজিকে, মোর কণ্ঠেতে আসি
সব জবানই হয়েছে আজকে গলার তব ফাঁসি
তবুও বলিতে আসি
সম্মুখে নিয়ে ফাঁসিসম্পূর্ণ

সেজনা হাজারো চেয়েছে ক্ষমা যদি নাই সে চায়
তোমার মুখের সামনে বসিয়া যার ব্যাথা সরে যায়
যে তাকে কেবল শান্তিতে রাখে দেহে করে বসবাস
সেই তো আমার প্রাণের প্রিয় বন্ধু আমার আশ।।

সম্পূর্ণ

কে জানে কোথায় তুমি আসিয়াছ আমার মৃত্যুকূলে
পথ বয়ে যায় সুদূর থেকে দুর পানে শুধু চেয়ে
কবে থেকে আমি বিরহে রহিব বিলীন তব সত্তা
ঘুমায়ে গিয়াছে যত ব্যাথা মোর প্রাণপ্রিয় শেষ সজ্জা।।

সম্পূর্ণ

আমি তখন দেখছি, বৃষ্টি এলো দুপশলা
ঘাসগুলো সব ভিজে মালার আবরণে ঢাকলো
আত্রাইয়ের তীরে দেখেছি অনেক স্রোত, সেদিন
পূর্ণিমার রাতে না, তীব্র সূর্যের দাবদাহের সেই বৃষ্টিসম্পূর্ণ

আমার মনে যুদ্ধ করে এসেছিলে যবে কাছে
শত ব্যাথা মোর প্রাণে টেনেছিলে হৃদয় কোলে পাছে
বন্ধু আমি চলিলাম এই নশ্বর ত্বক ছেড়ে
বিদ্রোহী রণক্লান্ত আমি হইলাম অবসরে।।সম্পূর্ণ

একটা পরিচিত হাত ক্রমশ বাড়াচ্ছে দূরত্ব
আবছা শরীরটা পাশ ফিরেছে
দেহের ওপর বয়ে চলছে অজানা শত্রুর আক্রমণ,
হিংসা, বারুদ, চেহারা নিচ্ছে অপ্রত্যাশিত দাবানলের
যার আগুন অদমনিও, অজেও সম্পূর্ণ