ঘুমিয়েছে কাঁচপোকা পাতাদের বারান্দায়
তারার নীল আলো ; অন্ধকারের নির্বাক দেহে
তন্দ্রায় নুয়েছে সোনালী রোদ্দুর

ঘুমিয়েছে শ্মশানে আদিপুরুষের
জমাট শবাধার ; সাদা ছায়াতে
ছুঁয়েছে মৃত্যুর চেনা গন্ধ

রাত্রির হিম ঘুমিয়েছে
নিস্তব্ধতার কোমল শয্যায়

ঘুমিয়েছ তুমি বালিশে গাল চেপে
আর একটা সূর্যের অপেক্ষায়
ঘুমাইনি আমি, জেগে আছি
নিরব কান্না নির্ঘুম রাত্রির প্রহরী

ঘুম তোমার একটা প্রবেশপত্র প্রয়োজন
মেঘের জড়দেহে সিথানে ধ্বংস রেখে
বরফ ঘুমায়সম্পূর্ণ

মুগ্ধতার জললিপি নদীর মতোই প্রবহমান
দ্রুত বদলে যায় ক্রোধ, ঈর্ষা, পরশ্রীকাতরতায়
সজল চোখ বা প্রেমমগ্ন দৃষ্টিচ্ছটাকে আঁকছি না
ক্যানভাস জুড়ে ফুটে উঠছে,
হাওয়ার ঘূর্ণি, বৃন্তচ্যুত হলুদের এলোমেলো রাশি
চৈত্রের ঝরা পাতা সম্পূর্ণ