জীবন মঞ্চায়ন
আমাকে পৃথিবীর দরজা ভেবে ভুল স্বাক্ষর তোমাকে নিয়ে চলে গেছে,
অনন্তর উপসংহার,
কাউকে খুঁজে না পেলেও নিজেকে পাবে,
একাকী,ভয়ংকর।সম্পূর্ণ
মধ্যাহ্নের কাক
ঘুমশিশুর আগমনে মৃতদের উল্লাস,
বেজে ওঠে বিচ্ছেদের সাইরেন,
বাস্তবতার এক অসম্পৃক্ত মিশ্রণে কেউ কেউ সত্য প্রেমপত্র হাতে দাঁড়ায় জনসমুদ্রের তীরে,
ডাকে সেই কাকের সুরে,সেই কালো কাক,
শহরের সমুদ্রে যার নিষ্প্রভ বিচরণ,
প্রেমের আহ্বানে শুনতে পায় মৃত্যুর গানসম্পূর্ণ
প্রতিচ্ছবি
ঈশ্বরের এক অলৌকিক সৃষ্টি “আদমসন্তান”
তার নিরন্তর জীবনে সৃষ্টি ও অবসানের অন্তবর্তীকালীন মন্বন্তরে,
অসহায়ত্বের দুই প্রান্তে দাঁড়িয়ে আমরা দুজন সমান্তরে।
নিরুপায় হয়ে ধারাপাতের বিরুদ্ধে গিয়ে ডাকছি শৈশবকে,
ভুলে গিয়েছি বড় যে হয়েছে সে ও ছোটবেলাকে সন্তান।সম্পূর্ণ
বহুগামী আদমশুমারী
অবশেষে ধনশাস্ত্র নীতিশাস্ত্রকে বলে,
অংকঅজ্ঞ বিত্তবানদের সম্পদের হিসেবের মতো,
মানুষের মাথা গোনাও পাপ,মহাপবিত্র পাপ।সম্পূর্ণ
প্রতিধ্বনি
সভ্যতা,সময় ও উপলব্ধি ফিকে হয়
মানবের চাহিদা পূরণ হয়,
তবুও স্বস্তির মুখ দেখা না হয়,
স্বস্তিরা সব অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে নতুন আবেদনের ভিড়ে,
দুরন্তর পথে নিরন্তর ছুটে চলার এক অক্লান্ত অবিশ্রান্ত প্রয়াসে,
মেকি ছলনার ক্ষণিক ক্ষেপনে সময়ও বিষণ্ণ হয়,
তাকে নিয়ে আরও দ্রুত,আরও বেগে,আরও ছুটে চলার এক অসম্ভব প্রার্থনা সময়ের,
সময়ের এ প্রার্থনা কার দরবারে?
আমার না ঈশ্বরের?সম্পূর্ণ