কবিতাবহুগামী আদমশুমারী
কবিআব্দুল্লাহ আল মামুন
বিষয়জীবনমুখী, বাংলাদেশ, রূপক
উৎসর্গবাবা,মা
সম্পৃক্ততাআদমশুমারী
লিখার স্থানধানমন্ডি
লিখার সময়ফেব্রুয়ারি ২০২৩,মধ্যরাত।
5/5 - (1 vote)

অবশেষে ১৭ কোটি মাথা গুনে দেখা গেলো তাদের প্রত্যেকেই বুদ্ধিজীবী,
আদমরা বুদ্ধিজীবী হয় না কিংবা বুদ্ধিজীবীরা আদম হয় না,
তাই প্রমাণিত হলো দেশটিতে একটিও আদম নেই।

মানবিক শিশুরা কাঁদছে,তাদের গোনা হয় নি,
টুপিওয়ালাদের টুপির জন্য মাথা দেখা যায় নি,
তর্কজীবিরা বেঁচে গেছেন মহাপবিত্র সংবিধানের সাথে তর্কে জয়লাভ করে,
অবশ্য এদের মোটাদাগের গোটা অংশই নিম্নশ্রেণীর জ্ঞানপাপী।

প্রেমিকদের ভালোবাসা,অভাগাদের হতাশা,কবিদের কবিতা পতিতালয়ের পতিতা,
কিছুই গোনা হয় নি।

তবুও নিরীক্ষায় স্পষ্ট দেখিয়ে দেওয়া হয়েছে ৯২ শতাংশ মুসলমান,
এতে পুরোদেশবাসী আনন্দোচ্ছ্বাসে ভেসে ভেসে ইতিহাসে ফিরে গেলো,

তারা দেখলো তাদের পূর্বপুরুষদের মধ্যযুগীয় উত্থান,
সেখানে তারা ৯২ শতাংশ মুসলমানদের আবিষ্কার করলো দিনমজুর,ভাটার শ্রমিক হিসেবে,
তারা শুনতে পেলো রবীন্দ্রনাথ বলছেন,
“মুর্খের দেশে আবার কিসের বিশ্ববিদ্যালয়”
চরম আত্মসংকটে ভুগতে ভুগতে তারা বর্তামানে ফিরে এলো,
তারা এই আদমশুমারীর প্রতি ঈমান আনলো,
রবীন্দ্রনাথ ও বিশ্ববিদ্যালয় কাউকেই চাইলো না।

কিছু ঈমানহারা স্বর্বৈদ্য মাথা চুলকে চুলকে বাইপাস সার্জারি করে ফেললেন,
কিছু হতাশাগ্রস্ত নাস্তিক খুজতে খুজতে ঈশ্বরকে খুজে পেয়ে গেলেন,
ভারসাম্য রক্ষায় “সময়” কিছু ইতিহাস মুছে ফেললো,
কিছু এলোমেলো “হিসেব” সময় মুছে দেয়।

অবশেষে ধনশাস্ত্র নীতিশাস্ত্রকে বলে,
অংকঅজ্ঞ বিত্তবানদের সম্পদের হিসেবের মতো,
মানুষের মাথা গোনাও পাপ,মহাপবিত্র পাপ।

Share
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments