জয়ার একজন পোষা কবি আছে।
জয়া কবুতর নয় কবি পোষে।
তসলিমা বলেছিলো,
কবি পোষার চেয়ে নাকি বিড়াল পোষা শ্রেয়,
তসলিমার হয়তো কবি পোষার ক্ষমতা নেই,
তাই আঙুর ফল টক মার্কা কথা বলেছিলো।
জয়ার কবি পোষার হ্যাডম আছে।
কবি পোষে জয়া যে খুব সুখে আছে তা কিন্তু নয়,
কবি পোষতে গিয়ে জয়া ভুলে গ্যাছে যাবতীয় সুখ।
কবিরা বড্ড স্বাধীনচেতা হয়, কবিরা হয় প্রেমময়
আর এতেই জয়ার মনে এতো ভয়।
সেই ভয়ে জয়া কবিকে সারাদিন চোখে চোখে রাখে
না জানি কখন মুখ দিয়ে ফেলে অন্যের বাড়া ভাতে।
সারাদিন শঙ্কিত থাকে জয়া,
এই বুঝি ফোন আসলো থানা থেকে কিংবা রাজপথের কোন সঙ্গীর ফোন থেকে, কবি থানায় আটক হয়েছে অথবা রাস্তায় থেঁতলে গেছে কবির দেহ।
কবিরা আঙুল তুলে কথা বলতে পছন্দ করে।
এই জন্যই কবিরা টুপটাপ ঝরে পড়ে,চুপচাপ মরে।
জয়া কতোবার ভেবেছে সে কবিকে ছেড়ে চলে যাবে, একা বাঁচবে। তবে যেতে পারেনি।
কারন কবিকে ভালোবাসার পর কবিকে ছেড়ে যাওয়া এতোটা সহজ নয়, যতোটা সহজ নয় আলোর মাঝে নিজের ছায়া গিলে ফেলার অভিনয়।