কেমন হতো যদি পৃথিবীতে
থাকতো না কোনো ইমোজি?
ভালোবাসার কথাগুলো কি তখন
ঐ হার্ট এঁকে বোঝাতে হতো নাকি,
ভালোবাসি বললেই তার গালের পাশ দিয়ে বয়ে যেতো দার্জিলিংয়ের সুগন্ধি বাতাস?
তোমার জন্য আমার রাগ পুষে রাখা শিখতে হবে অন্তরা।
কারণ আমার রাগ খুব ক্ষণস্থায়ী, দমে যায় খুব সহজে।
এই ফ্যাসিস্ট রেজিমেন্ট আমাকে শিখিয়েছে শুধু দমে যেতে, মাথা উঁচু করে বাঁচতে শিখায়নি।
তবে সবচেয়ে বড়ো শুভংকরের ফাঁকি তো মনে হয় ঐ শিক্ষাকে যা আমাদেরকে রাগে জড়ানো ভাষ্কর্য ভেঙে কিভাবে বার বার বেড়িয়ে এসে চুমু খাওয়া থেকে বিরত রাখে।
“কিছু মানুষের ভালোবাসতে নেই,
কিছু মানুষের আশা করতে নেই ,
কিছু মানুষের অন্যের ভরসায় বাঁচতে নেই।”
এরকম পপুলিস্ট কাব্যিক লাইনগুলো যাদের জীবনের সাথে মিলে যায়, সেই তালিকায় নিজের নাম দেখে ভড়কে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত।
কাঁচ গ্লাসে লাল মদ,
নাকি লাল গ্লাসে কাঁচ রঙা মদ?
দুই হাজার চব্বিশ,
নাকি বিশ চব্বিশ?
মাথার উপর আকাশ,
নাকি আকাশের উপর উল্টো ভূমি?
ক্ষুদার্থের অনেক সাধনার খাদ্য ভক্ষণ,
নাকি খাদ্যের মুখ গহ্বরে গোগ্রাসে প্রবেশ?
বলি কথাগুলো এক বারান্দায় বসে,
যখন শেষ হবে তোমার আমার-
মাল্টা- চায়ের রেশ?