4/5 - (1 vote)

আলো-আধারির জলরং শাড়ি পরে সেজেছে আশ্বিনের ভরা রাত্রি
নক্ষত্রের আকাশ থেকে নৈঃশব্দ্যে ঝরছে চন্দ্রসুধা
শূন্য চন্দ্রশালায় উইস্কি গিলতে গিলতে পাঠ করছি এক মেঘ জীবন

কোথাও কোনো নক্ষত্র নেই
কোথাও কোনো রঙ ফোটা নেই…

চারদিকে অমাবস্যার কালিমার মতো, সাহারা- এন্টার্কটিকার মতো
কি তুমুল বিষাদী বিবর্ণতা
ওহ প্রকৃতি, ওহ ঈশ্বর, ওহ বিধাতা
ওহ আল্লাহ, ওহ স্রষ্টা, ভগবান…
এতো এতো বিবর্ণতায় কেনো এঁকেছ একজীবন?

একঝাক চন্দ্রাবলী তালিয়ে যাচ্ছে একখণ্ড মেঘের অমাবস্যায়!

২.

মেঘবতীর দৃশ্যত গতরে দেখেছিলাম এক প্রশ্নবোধক বিধ্বস্ত অন্ধকারের নগরী
চন্দ্রাংশুদের মুখে মুখে কতো শুনেছি অন্ধকার অশুভ’র প্রতীক
তবুও বিধ্বস্ত অন্ধকারে আমিত্ব ডুবিয়েছি

বিধ্বংসী কৌতূহল শুভ-অশুভ পরিমাপ করে অভিন্ন মানদণ্ডে।

৩.

তোমার প্রস্থানে একখণ্ড মেঘ এসেছিলো ছাঁয়া হয়ে

কোনোএক কবিতার কারিগর বলেছিলেন একদিন – ‘মেঘ দুঃখের কাব্যিক নাম’
আমি ছায়ার নিচে বসে বসে মেঘের দুঃখ দেখতে গিয়ে বিস্ময়চোখে নিজেকে দেখেছি
হায়! এতো এতো বিস্ময় ভেতরে নিয়ে সরলসাদা বিলি করছি দিব্যি!

প্রিয় মেঘ, আমার দেওয়া দুঃখগুলোও তুলে রেখ দৃশ্যত গতরে
আমি অন্যজন্মে স্বর্গজল হয়ে ধুয়ে দেবো তোমার নোনাচোখ,
মুখ
দুঃখসমগ্র।

guest
0 Comments
Newest
Oldest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments