3.5/5 - (6 votes)

অন্ধকারনামা
______________

 

টিকাল রোদ্দুর অথবা অন্ধকার ঘনীভূত হলে তন্দ্রার ছায়া পড়ে,
চোখের বর্তুলে-
কেবল ধেয়ে ধেয়ে নিকটে আসে রাজ্যের আমাবস্যা
গলে গলে নিঃস্ব হয় স্নিগ্ধ মুদ্রাদোষ….
ক্রমশ।
একটাসময় চোখেপড়ে মোহগ্রস্ত স্বপ্ন আর নিয়মানুগ অব্যাসের অসহায় আত্মসমর্পণ।

বস্তুতঃ’মৌলিক প্রয়োজন’ অনির্বাণ আগুন হয়ে উঠলে,
মনুষ্যপ্রাণও মোসাফির হয় বিবর্ণ অন্ধকারের।

নরকপথ
__________

দ্রব্য আর মানব মূল্য পরস্পর বিপরীত পথ অতিক্রম করতে করতে
           পৌছে যাচ্ছে নরকে
শান্তিচার্চার নৈবদ্যে নৈঃশব্দের ভাষা পুঁজি করে আমরাও অতিক্রম করছি-
           ‘বিবর্ণ এক নরকপথ’

এইতো, অদূরেই বোধহয়….  ‘ন র ক’

সময় সংক্ষেপ।
অতএব,
ফুঁসে ওঠো। অথবা নরকযন্ত্রণার নৈবদ্যে প্রস্তুত হও, হে কাপুরুষ পৃথিবী
বিমূঢ় সভ্যতা!

মৃতাত্মার মানুষ
__________

সর্পবিষ দাঁত আর হিংস্রা চোখওয়ালা সহস্রপদ শকুন ডানা ঝাপটাচ্ছে পৃথিবীর আকাশে
ক্রমশঃ
বাতাসে বাড়ছে অসভ্যতার আধিপত্য…. বিষক্রিয়া-
অসভ্যতা সংক্রামক, তাই ঝড়গতিতে
সংখ্যায় বাড়ছে শকুনিপ্রজাতি।

স্বীয় হাসফাস শুনতে পাচ্ছ হে সভ্যতা?! হে কবি
জেগে ওঠো,
সুর তোলো….
অন্যতায় একদিন শকুনিসভ্যতা হবে কবিতার একমাত্র বিষয়বস্তু
আর
তুমি হবে মৃতআত্মার জীবন্ত মানুষ!

guest
0 Comments
Newest
Oldest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments