5/5 - (1 vote)

অঙ্গার স্বীকার করে নিয়েও অন্যকারো চোখে আশ্রয় নেওয়া যায়,
ক্লান্তির আঘাতে যে সূর্য নিভে গেছে
বসন্ত কিংবা ঘনিষ্ট উষ্ণতার লোভে আবার জাগিতে চায়;
জ্বলিতে চায় কয়লার র্নিবাণ।
মায়ের নীরবতায় জন্ম নেওয়া সেই গলাকাঁটা মাগরিব
স্নেহের আঙুলে রক্ত জড়ালেই আরো ঢের হেঁয়ালিপনায়
বিড়বিড় করে মূহুর্তের নীল উচ্চারণ;

দেখছি কেমন করে রোজ বদলে যাচ্ছে আমাদের পিতাদের আয়ুরহস্য।

আমাদের নিগূঢ় বন্দরে সন্তপ্ততার লেলিহান—
প্রেমদৃঢ়তায় প্রতীক্ষার নিবেদনে ঢেউয়ে উড়াচ্ছি বেদনার বিলাপ
সবকটি নোঙ্গর ছেড়ে যাচ্ছে শোকের ব্যানারের মত অঘোর মাস্তুল
যেন সর্বনাশের পয়গাম রেখে যেতে চাই অগ্র-প্রদোষে।
সীমান্ত ডুবে যায় সীমান্তে!

একদিন দেখা হল ঈশা—নিরানন্দ হাসপাতালে!
আমরা যে পাগলকে হারিয়েছি কালের জোয়ারে
সেও কিঞ্চিৎ বেঁচে আছে প্রলয়ের টানেলে
জানালো; নিরানন্দের নাকি পাকস্থলী ছিলো না
তবুও মগজের প্লেইটে কবিতা-ক্ষুধা নিজের অবয়ব খেয়েছিলো দারুণ।
আমরা কেবল ঘনিষ্ঠ প্রবাহ—
হৃদয়ের কাছাকাছি অবিরাম-নিঃসঙ্গতা।

guest
0 Comments
Newest
Oldest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments