যেদিনে,যুদ্ধবিরতি দেবে রাশিয়া,ওদিকে দূর উত্তরে কাটবে একটা সাদামাটা দিন।
আর ফিলিস্তিন অথবা আফ্রিকায় শোনা যাবে না কোন শিশুর কান্না।
কোন উৎসব হবে না তবু রাস্তার দুপাশে ফুটবে অগনিত অর্কিড।
অমন দিনে,
রাস্তায় জল আটকে যায়,ভেসে যায় ব্যাঙের ঘরদোর।
মিছিল আসে, রাতদুপুরে খুব সতর্কতায় ছেলেগুলো এঁকে চলে যায় নিজেদের নাড়িভুড়ি।
কেউ বলে ‘বিপক্ষের রাজনীতি’, কেউ জানায় ছেলেগুলো আত্মঘাতী।
অথচ ছেলেগুলো নিজের আম্বিলিক্যাল কর্ড হাতে নিয়ে দৌড়াতে থাকে মোড় থেকে মোড়ে, চায়ের দোকানে।
মাতৃজঠর খুঁজে ফের জোড়া লাগিয়ে দেবে, ভেতরে শুয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবে বলে।
যেসব দিন গুলো খুব আলসেমিতে কাটাই,
বারবার নিৎসে হাতে নিয়ে রেখে দিই,নেড়েচেড়ে বুঝতে পারি টেবিল থেকে চেয়ে আছেন কাফকা,কিয়োরোস্তামি আর বিনয়।
ওরকম দিনে,
আমার আর কিছু পড়া হয় না।
টেবিল ছেড়ে টেলিফোন করি থানায়,খবর নিতে
আমার কোন বন্ধুটি আজ ফেঁসে গেলো নতুন কোনো দায়ে।
বন্ধুদের মধ্যে সবচেয়ে উজ্জ্বল ছিলো অনন্ত,
চোখে মুখে বুদ্ধির ছাপওয়ালা অনন্ত একদিন বললো,
আমাদের বসন্ত এলে সেনানিবাসের নাম হবে মুত্রালয়।
আমি জানতাম অনন্ত একদিন ঝড় হবে।
সাদামাটা একটা দিনে জানতে পারি
অনন্ত ঝড় হয়ে গেছে।
যেমন দিনে,
হাসপাতালের খাতায় হিসেব পাওয়া যায় না,
আজ ক’জন খরচা হলো,
পেট কেটে ক’টা বাচ্চাকে বের করে পৃথিবীতে ছুঁড়ে ফেলা হলো হাঁপিয়ে মরবার জন্য।
যাদের আবারো দেখা যাবে কুড়ি বছর পর
রাস্তায়,মধ্যরাতের মিছিলে।
asadharon kobitati!
ধন্যবাদ