বোধ অন্ধকারে
*
অমীমাংসিত কতগুলো ইচ্ছের তীব্রতায় হেটে গেছি
প্রায় মুছে-যাওয়া আলপথ ধরে।
মহাকালের দর্পনে আধডুবা সমুদ্দুর—সমুদ্রের ভেতর ইতিহাস,
ইতিহাসের চ্যাপ্টা শরীরে নিয়ত আঁকা হচ্ছে শব্দের অস্থিরতা।
এই সব সংঘাত-সমঝোতায় টেনে নেওয়া জীবনের চিহ্ন—সমরে উল্লাস।
কদম পাতার মত দৈবাৎ ঝড়ে পরে কবিতা
আবেগি তুলে নাও, ত্রস্ত ধোরের আদি পটভূমি লিখা আছে অনুভূতির সনাতনে।
*
বিশ্বাস করতে চেয়েও সমর্পণে ফেরা হলোনা,
অস্তিত্ব..গাঢ় নিঃসঙ্গতার ভেতর ধূসর-পথ হেঁটে গেলে ভীষণ বিভ্রান্ত পৃথিবীতে নিজেকেই জড়িয়ে ধরেছি কেবল;
তবে বলো, কবে কার-ঈশ্বর ছুঁয়েছিলো কবির নিঃসঙ্গতা?
যেনো এই ছায়াপথে নয় এ হৃদয় তারাদের ভীড়ে অন্য এক প্রকৃতির।
*
এসব দিনের ঝলসানো অবহেলা রক্তের ভেতর চালান করে দিচ্ছে অনর্থ জীবনের বহু বিধান আরো কত-কত উপলক্ষের স্পর্ধা।
প্রিয় ছায়াছবির ঝীরঝীর কাঁপনে খুলে যাচ্ছে বিলম্বের জানলা।
দেখছি পিতার পাঁজরেই আমাদের আদি ভিটে জীবনের সহজ স্ম্প্রচার।
হঠাৎ পাল্টালো ঠিকানা কোথাও নেমে এলেম মানুষের আদলে! এক-কবর নিস্পন্দ কাপ্রীর প্রয়োজনে হয়তবা এই আয়োজন।
*
কোন মৃত্যুই আমি চাই নি—
অনিবার্য সিদ্ধান্তের ভার বুকে নিয়ে
আগ্রাসি উপকূলের পথ যেভাবে গেছে
সবটাই বিন্যস্ত জড়তা বিচ্ছিন্ন হাড়।
হৃৎপিণ্ডের কম্পনে সরে যেতেছে মাটি
এক-একটি ফোঁসফোঁস থেকে নিসৃত দীর্ঘশ্বাসে
ঘোর রজনীর আলিঙ্গন;
পাঁজরের ভেতর দিয়ে মগজের মেঝেতে
একটা বৃদ্ধ গ্লানি রেডিও তরঙ্গের মত আমার স্কন্ধের খুব নিকটে;
মিথ্যচার নাকি প্রত্যাবর্তন জানি না
শুধুই দেখছি একটি জন্মও যথেষ্ট নয়
তাই কোন কোন মৃতের আবার-বারবার জন্মাতে হয়!