সেদিন ভোর হবে চিরাচরিত নিয়মে; সূর্য উঠবে পাখিও ডাকবে
যদিও ইচ্ছে ছিল ২১শ শতকের এই কংক্রিটের শহরে কা কা ডাক শুনবো
তা হবে না। কারণ শহর ভর্তি হাহুতাশের দল; রঙ্গিন কাকের দল আর নেই
এখন আর এক মৃত্যুতে হাজার কাঁকের আহাজারি শুনি না
দেখি না ডাস্টবিনের ময়লা খেয়ে সমাজ সাজাতে; এখন শুধু ময়লা করে।
তাই আমি বিলীন হতে ব্যস্ত, যদি জীবনান্দের দেখানো পথে
রক্ত কবরী হাতে ট্রাম লাইনের নিচে বসে পড়তাম
অথবা বকুল তলায় প্রিয় মালা হাতে শেষ চিঠিতে;
জীবনের সব হাহাকার ব্যক্ত করে নিদ্রায় যেতাম
তবে থাকত না আর এই জীবনের টুকরো টুকরো বেদনা
থাকত না আর হাজার পাঁচেক স্বপ্নের বোঝা; বিশ্বাস ঘাতকতা
অথবা সংসার নামক বোঝা।
আমি অবুঝ মানব সারাজীবনই করেছি ভূল
স্বভাবে স্বজ্ঞানে ও আবেগে; তাই ভূল হতে বাঁচতে শেষ ভূলকেই করব কবুল
তাই এই শেষ রাতে স্বপ্নগুলো ছিঁড়ছি অবিরত
নিচ্ছি বিদায় তুমি তোমার তাদের থেকে,
কিছু ঋণ রেখে গেলাম সবার তরে, মনে রেখো এই অবুঝ চণ্ডালকে
মনে থাকাই যে আসল বাঁচা এ অধমের কাছে।
মাকে বলে দিও দূর্বল আমি, জন্মই ছিল ভূল
যেন কবরের পাশে রাখে বকুল ফুল
তারে জানিয়ে দিও; স্মৃতিগুলো সঙ্গে নিয়ে গেলাম
দেখা হবে পরের জন্মে অথবা পরকালে
দোষ দেব না, হবো দোষী বরাবরের মত করে।
তাদের বলে দিও, কবিতা গুলি পুড়িয়ে দিতে
অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাক, সৃষ্টার সৃষ্টির দাম নেই
বিলীন হবার পর।
শুধু শেষ আশা হবে; আমার মৃত্যুতে
কাঁকেরা যেন হাহুতাশ করে।