বললেই হতো, ‘খাদ্য’ দেবে না।
ইনিয়ে বিনিয়ে সুস্বাস্থ্যের কথাগুলো, কেনো?
কেউই কি জেনেছেন,
কতো পাতা পড়া হলো সুস্বাস্থ্য-কে নিয়ে?
কর্মে, আদর্শে, ভিক্ষায়, যোগ্যতা এবং অনুকম্পায়
কতোশতো মতামত ধেয়ে এলো চায়ের আড্ডায়?
নতুন কতোজন বিশেষজ্ঞ, এ বিষয়ে
গবেষণাপত্র জমা দিলেন?
যে ক্ষুধার্ত দাড়িয়ে ছিলো লঙ্গরখানার দরজায়,
কেউই তাকে, কেনো কোন খাদ্যই দিলেন না?
খাদ্য দিলে অবশ্য,
অন্য মাত্রাও যোগ হতে পারতো।
‘কারা কারা মহৎ হৃদয়’,
‘মানবতা কি’, ‘নীতি কতো প্রকারের হয়ে থাকে’,
এসব তত্ত্বও তখন বেরুতো রাস্তায়।
ভালো কথা, কেউ কেউ ক্ষুধার্তের মুখে অন্ন দেয়া নিয়ে, মানবাধিকার মানবাধিকার বলে বেশ কিছুক্ষণ
ভাষন টাষন দিয়ে, পাঁচতারা হোটেলে
মোরগের ঠ্যাং চিবুতে গেলেন।
সেখানে উপস্থিত ছিলেন,
গদিচ্যুত, গদিওয়ালা, ধামাধরা, প্রগতিওয়ালা সব্বাই।
কেবল হাঁ করে তাকিয়ে ছিলো, ফকিন্নি।
সম্মিলিত ডিনার শেষে,
পাশ কাটিয়ে যাবার সময়, তাঁরা তাকে বলে গেলেন,
“ছুঁচোর মতো কি দেখিস, লজ্জা করে না?”