3.2/5 - (6 votes)

চলে গেছে সবাই– সব্বাই!
তুই কেনো আর বসে? তুইও যা না!
দেখ, আমায় যদি ছুঁয়েও দিস; পুণ্য হবে না।
গা আমার উল্টো কাঁঠাল পাতা,
বড্ড বেশি রুক্ষ খসখসে।
পেলবতায় ছাই দিয়ে– নীলকন্ঠ সাধবি!
ছিঁড়লে পাবি কষ, ছিঁড়লে পাবি আঁঠা।
থাকবি তবু? থাকবি?
মাখবি তবু অস্তাচলের ছোঁয়া!
তোর বুকে নাহ্, অনেক বেশী মায়া!

বুকের ওমে লুকোয় যে জন,
আমি তো সেই সভ্য প্রেমিক নই!
হয়তো তোকেই মন্দ বলে দিলাম!
হয়তো কোনো তুচ্ছ কালো রাতে, হঠাৎ–
শ্মশান জেগে গেলো,
সেই আগুনে মরবি তো তুই পুড়ে?
সবাই কি আর মরতে জানে!
সবাই কি আর জোনাক পোকা হয়!
এমন জীবন কেনো নিবি?
কেনো নিবি এমন মরন– পণ!
নিবিড়ভাবে আগুনকে আর কেইবা ভালোবাসে?
নিবিড়ভাবে চৈত্র ক্ষরায় কেইবা ঘামে ভাসে?

সবাই গেলো, তুইও যা না!
খুঁজছে লোকে জোনাক পোকায় হুল–
তোকেও দেবে রোষ অনলের জ্বালা!
এমন যে জন চৈত্র হয়ে যায়,
চৈত্র চোখে চোখে–
তাকে কি আর; বাসতে আছে ভালো! পালা!
তার পীড়িতের, ছায়া ছোঁয়াও মানা!
তুইও যা নাহ্! পালিয়ে বাঁচ।

guest
0 Comments
Newest
Oldest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments