তোমার বক্ষ মাস্তুলে যতবার কবিতা লিখেছি
ততবার একটি অক্ষর হারিয়ে গেছে নতুনত্বে
একটি প্রতীক হারিয়েছে অক্ষরসাথী হয়ে,
তোমার সুতীক্ষ্ণ চুম্বনে মেঘেরা লজ্জায় নিখোঁজ
আমি নিখোঁজ হয়েছিলাম তোমাতে
আমি হারিয়েছি প্রেমদেহে অলিতে গলিতে।
নিস্তব্ধতার মাঝে হারিয়েছি নিজের কথাগুলো
বোবার মতো বসেছিলাম প্রেমের নিরেট আঙিনাতে
আমি আমাকে গ্রেফতার করেছি তোমার প্রেমাগারে,
একান্ত বিশ্বাসে নীরবে নিভৃতে হয়েছি নিভৃতচারী
প্রেমের জমিনে সফল চাষাবাদে বুনেছি প্রেমকবিতা
তোমার অস্তিত্ববাদে এঁকেছি প্রেমসূত্রের সংবিধান।
তোমাকে পরিচিতি দিয়েছি প্রেমের অফুরান পৃথিবীতে
প্রেমের সার্থক স্বাধীন প্রেমের পতাকায় তার প্রতিচ্ছবি
মেরুন রঙের শাড়িতে নতুনের আগমনীর শুভ্রতা ছিল,
কালো রঙের ব্লাউজে ছিল পরাধীনতার প্রতিবাদীপক্ষ
সিঁড়িপথে পায়ের নুপুরে বেজে উঠেছিল প্রেমের গান
কবিত্ব জাগে ওখানেই যেখানে তোমার অব্যর্থ নিশানা।
তুমি শক্তহাতে ভেঙেছিলে জড়তার প্রেমভুক শিকল
তোমার স্বাধীন চুম্বনে তৃষ্ণার্ত ঠোঁট পেয়েছিল প্রেমসমুদ্র
সেখানে নোনাজল নয় ছিল প্রেমজলের পবিত্র স্পর্শ,
তোমার স্পর্ধা সেদিন বাধ্য করেছিল প্রেমাঙ্কুর বপনে
তোমার বিকিনিতে প্রতিবাদ নয় ছিল প্রেমের শুভ্রতা
ছিল প্রেমবৃষ্টি ছিল প্রেমেরনীলে জাগ্রতচিত্তের কবিতা।
ঘাসফুলে শিশিরজলে তোমার এক পায়ে রূপার নুপুর
নগ্নপায়ে শিশিরফোঁটার চুমু পরাজয় স্বীকার করেছিল
ঝাউগাছের পাতাগুলো তোমায় নিয়ে কবিতা বুনেছিল,
সেদিন মৃত্তিকাভূমিতে আমি হয়েছিলাম কেবলই দর্শক
প্রেমের নীলিমায় অভ্রনীলের মিষ্টিরোদ পায়ে লুটেছিল
বৃক্ষরাজির শীতলতায় ছিল প্রেমের হাওয়াই মিঠাই।
2020-01-28