ঘুম আসেনি, ঘুম আসেনা, ঘুম আসবেনা
তবুও ঘুমন্ত, নীরব হৃদয়ে,
আমাকে বুঝেনি, বুঝেনা, বুঝবেনা
মৃত্যুর কোলে চুপটি করে ঘুম দিব।
অশান্ত থেকে শান্ত হয়ে যাবে সবকিছু
লবণাক্ত হয়ে যাবে পানি,
আগুন পুড়ে দিবে কবি’র দেহকে
ছাইভস্মে উড়ে যাব যে কোথায়, জানিনা।
আত্মমগ্ন হয়ে যাব নিজ আত্মায়
মা-বাবাকে একা রেখে,
কিংবা সন্তান হয়ে যাবে পিতৃহারা
উফ! কিসব উল্টাপাল্টা চিন্তা এগুলো!
ক্ষুধার্ত এই শরীরে পিপাসিত মন
অথচ পানি দেবার কেউ নেই,
নির্ঘুম রাতের আজব শব্দের গতি
টেনে নিচ্ছে মনের বিজ্ঞানে!
বিজ্ঞানের ওসব রসায়ন, পদার্থ বুঝিনা
বুঝি শুধুমাত্র সরলতার প্রতিশ্রুতি,
সমাজের কালোধোঁয়া আমি বুঝতে পারি
কিন্তু সবাই বুঝে শুধু রাস্তার কালোধোঁয়া।
গণিতে একশত পাওয়া অনেকেই আছে
জীবনের খাতায় কত! ভেবেছে কি কেউ?
সমাজ পড়েছে সবাই অথচ সামাজিক কে?
কতজন হয়েছে মানবিক মানুষ?
ঘুম আসেনি, বয়স বেড়ে যাচ্ছে
তাই ঘুমপাড়ানি মাসিপিসি নেই,
সেও আজ আর নেই, ফিরছেনা বাংলায়
হারিয়ে গেছে ইংরেজির নব্য বাবুদের কাছে।
যত্তসব চিন্তার বিষাক্ত গুলি আমার বুকে
শ্বাস নিতে গিয়েও দীর্ঘশ্বাস ফেলতে হচ্ছে,
কখনো বুকটা চেপে দিচ্ছে অসহ্য এক যন্ত্রণা
কেউ বুঝেনি, বুঝবেনা।
এসব প্রেম-ভালোবাসা বড়নোটে বিক্রিত পণ্য
হয় আপনি কিনবেন নয়ত আপনাকে কিনবে,
বিশ্বাস না হলে থাকুন অবিশ্বাসের পাতায়
তাতে কবি’র কি-ইবা আসে যায়!
কবি’র কেবল ঘুম আসেনা
অথচ পরিশ্রান্ত মস্তিষ্ক,
চোখের দিগ্বিদিক চেয়ে থাকা
আর হাতের মুঠোয় স্বপ্ন।
কবি’র তবু ঘুম নেই এই মধ্যরাতে
রাস্তার কুকুরের ঘেউঘেউ সঙ্গী,
সিগারেটের নিকোটিনে কবিতা
নিশ্চিন্তে দুখেদের দিচ্ছে উড়িয়ে।
ঘুমের ভূগোল জানা নেই কবি’র
সজাগের চারটি পাতায় অন্তরজাল,
কবি স্বপ্ন দেখে, কবি অবশ্যই ঘুমাবে
ঘুমের বালিশে একাকীত্ব-ই একমাত্র সম্বল।