এই যে শ্বাস, আসছে আর যাচ্ছে
বাঁচিয়ে রাখছে একটি প্রাণ!
কিন্তু এই শ্বাসে যে কষ্ট বেশি!
মানুষ বুঝে না, কেন বুঝে না?
প্রকৃতিকে হত্যা করে করছে নিয়মিত
কেন করছে? তাও কি জানেনা!
শুদ্ধস্বর নেই, শুদ্ধতার শ্বাস নেই
এখানে বাতাস বিষাক্ত আর
এরচে বিষাক্ত হচ্ছে মানুষ!
প্রকৃতির সাথে যুদ্ধ করছে মূর্খের দল
জানেনা, প্রকৃতির সাথে যুদ্ধটা অসম্ভব!
বোকার মতো শেষ করে দিয়েছে খালবিল
নদীর দখল, অবৈধ স্থাপনা যেন মাটিকে ধর্ষণ!
অবৈধ দৈহিক খননকার্য বৈধতা পায়নি কখনো,
এটাই চিরন্তন সত্য, এটাই ইতিহাস!
মানুষের মাঝে নেই মনুষ্যত্ব
কাজেই হয়ে উঠেনি মানবিক মানুষ!
কোমল শিশুদের জন্য কি রেখে যাচ্ছি আমরা?
অর্থ-সম্পদ, বাড়ি-গাড়ি?
অথচ জানিনা, এদেরকে আমরা বাজে পরিবেশ দিচ্ছি
শেখাচ্ছি সব ভুল অনিয়ম অনৈতিক শিক্ষা!
ভ্রুক্ষেপহীন ভাবে বার বার বারংবার ভুল!
ওরা হয়ে উঠবে হয়ত আরো ভয়ংকর!
সমাজ অন্ধকারে নিমজ্জিত হচ্ছে দিনকে দিন!
প্রকৃতিও ফুঁসে উঠছে ভয়ানকভাবে!
একদিন প্রকৃতি করাল গ্রাসে গিলে নিবে সব!
শিশু আর প্রকৃতি দুটোই আদুরে, ভালোবাসার
অথচ ভবিষ্যত কি হবে! কেউ ভাবেনি, ভাববে না।
ভবিষ্যত প্রজন্ম একদিন থু দিবে আমাদের মুখে
বলে দিবে, “তোমরা সব মূর্খ, আমাদেরও করেছ তাই”
সেদিন, সেদিন কি উত্তর দিবে শুনি?
এসব চিন্তা আর নিতে পারছিনা আমি
আমি তাই শুধু প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলাম তোমাদের দিকে,
বাকিটা তোমাদের ব্যাপার!
হে প্রকৃতি, আমি অন্তত ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি
পারলে ক্ষমা করে দিও।
হে শিশুকোল, তোমাদের জন্মটা হয়ত যুদ্ধের জন্য
কেবলই জীবন যুদ্ধ হয়ত অপেক্ষা করছে! আফসোস,
লেখার ছিল অনেককিছু, সব কি আর লেখা যায়!
ক্ষমা করে দিও, ক্ষমা চাই আমি এক মূর্খ কবি।