রাত সাড়ে বারোটার উপর বাজে
আমি জানালায় বসে আছি,
একসময় ঘড়ির টিকটিক আর কানে আসছে না
বৃষ্টির ঝিরিঝিরি শব্দ যেন ঘড়ির কাটাকে থামিয়ে দিচ্ছে,
বৃষ্টি এসে আমায় ছুঁয়ে যাচ্ছে
বলছে, আমাকেও নাকি সে মিস করে,
বলছে, আমাকে ভালোবাসে,
ওদিকে হিমেল বাতাস বলছে, চিন্তা না করতে,
বলছে, মাথা শান্ত হয়ে যাবে,
বৃষ্টি বলছে, আমি যেদিন মারা যাবো ঠিক সেদিন
ও এসে আমাকে শেষবারের মত ছুঁয়ে দিবে,
কপালে এঁকে দিবে মিষ্টি পবিত্র এক চুমু। ধরো প্রকৃতির এই বৃষ্টি
আমাকে কাঁদতে সাহায্য করে
কিন্তু কেউ তা বুঝে না,
শুধু বৃষ্টিটা আমাকে ছুঁয়ে যায় পবিত্র স্পর্শে।
আমার আমি এখন রুমে বন্দি আছি
কিন্তু বৃষ্টি আমাকে ডাকছে,
মনে হচ্ছে ওর ছোঁয়া আমাকে শান্তি দিবে
আর বৃষ্টি পাবে আমার ভালোবাসা,
প্রকৃতির কাছে আমি এজন্য সবসময় ঋণী।
বৃষ্টিরা বলছে, তোর প্রথম প্রেমের আজ মন খারাপ,
বলছে, ও তোকে এখনো ভুলেনি।
কিন্তু আমার আমার কিছু করার নেই,
আমি বৃষ্টি নই, নই হিমেল বাতাস,
আমি তাই পবিত্র ছোঁয়াটা দিতে ব্যর্থ ।
প্রকৃতিকে বলেছি, তুমি বন্ধু হয়ে ওকে ভালো রেখো।
আকাশটা কেমন হালকা হালকা লাল হয়ে আছে,
তারাও কি মানুষের মত কান্না করে!
তাদেরও কি তাহলে চোখ লাল হয়ে যায়!
তারাও কি একসময় কান্না করতে করতে শিশুদের মত ঘুমিয়ে পড়ে!
তারাও কি আদর ভালোবাসা কিংবা প্রেমের আবদার করে!
খুব জানতে ইচ্ছে করে,
খুব জানতে ইচ্ছে করে তোমাদের পবিত্র ভালোবাসাকে কেউ কি সম্মান দেয়!
কেউ কি একবার ভাবে চন্দ্র-তারা,সূর্য,আকাশ, বাতাস,মাটির গন্ধ এরা আমাদের বাঁচিয়ে রাখে!
বড্ড ভালোবাসি, কৃতজ্ঞতা জানাই নতমস্তকে,
এ যে ঈশ্বরের দান,তাঁর দানেই যে প্রাণী জগতের প্রাণ!
এইতো দুদিনের জীবনে জীবনের জয়গান,
এইতো শান্তির বীণার শ্রেষ্ঠ জীবনানন্দ!