তোমার চোখে তাকিয়ে থেকে হয়ে যাই এক গাঙচিল পাখি
ওখানে প্রেমের আভাসে বসে রই তোমার প্রেমের ডালে,
আমার কবিতায় শ্রোতা হয়ে তোমার চোখ বন্ধটাও কবিতা
পাশে বসে থাকা প্রেমটাকে দেখে গেছি এক মহা আনন্দে,
তোমার দৃষ্টিশক্তিতে প্রেমের ঝড়বৃষ্টি, তুফানমেল ছুটে
আমার ওষ্ঠদ্বয় তবু তৃষ্ণার্ত দৃষ্টিতে তোমার ওষ্ঠের অভাবে,
তোমার খোলাচুলের আকাশে প্রেমটা বেশ উড়ন্ত ঘুড়ি
ওখানে খেলে যাওয়া স্পর্শটাই নিরেট কবিতার কারিগর,
তোমার আঙুলের পিয়ানোতে প্রেমের লুকোচুরির খেলা
পাশাপাশি বসে থাকা দুটি হৃৎপিণ্ড বেজে উঠেছে বারবার,
অথচ চুপচাপ বসে থাকার কি অভিনয়টা দেখালো দুজনে
রাতের কবিতায় স্নায়ুতন্ত্র ঘুমাতে দিচ্ছেনা হয়ত তোমাকে,
যতবার প্রেমটা কলিংবেল বাজায় ঠিক ততবার আমি
আমার কবিতা তোমাকে ঘুমোতে দিচ্ছেনা নীরবকোলে,
এপাশ ওপাশ করে কবিতাটা তোমাকে নাড়া দিচ্ছে বড্ড
প্রেমের বুকে তাই প্রেমের নিরেট কবিতাটা লিখে দিতে চাই,
তোমার ওষ্ঠে জন্ম নেওয়া প্রেমশিশু তৃষিতগৃহে বন্দি
ওর তৃষাতুর নগরে একটু হেঁটে যাও, দেখে যেও অঘুমাকাব্য,
চঞ্চলতার নিগূঢ় প্রেম ঘুরে বেড়াচ্ছে হৃদয়ের গভীরখাদে
ওকে টেনে তুলে মুক্তি দাও বক্ষগহ্বরে, বেঁচে থাকবে,
বক্ষস্থলে ভেঙে দাও অদৃশ্যমান প্রেমভুক শিকল
প্রেমের স্পর্ধায় নীরব প্রেমকবিতা লিখে দাও লিখে দাও,
লিখে দাও অদৃশ্যভাবে যা কেবলই নিঃশ্বাসে হবে আবৃত্তি
চুপচাপ নিঃশব্দে প্রাগৈতিহাসিক সুখের এলোমেলো বক্ষে।
2022-11-30