ইদানীং আমার খুব জেদ হয় জানেন?
এতো এতো প্রেম বুকে জমিয়ে নামাজের দরুদ পাঠে কিংবা সবুজ গম্বুজটি দেখলেই যেই প্রেমিকের চোখ শীতল হয়ে যায়, সেই প্রেমিক কেনো চাইলেই আপনাকে একটা নজর দেখতে পায় না?
মাঝেমধ্যে গভীর রাতে ঘুম ভেঙে গেলে আমি চাঁদের দিকে তাকাই, ভাবি কতো সৌভাগ্যবান! দূর আকাশের হলেও — ইচ্ছে হলেই আপনার রওজা মোবারকের উপর ছড়িয়ে রাখতে পারে ধবল জোছনা। তাকালেই দেখতে পারে মদিনার উজ্জ্বল নূরানী আলো…
আচ্ছা, আপনি কেনো নিজের তাজা রক্ত মোবারক ঝরিয়ে প্রেম জমিয়ে রেখেছিলেন এই নিকৃষ্ট প্রেমিকের জন্য?
কেনো বার বার আপনি আল্লাহর কাছে মিনতি করেছেন আমাকে ক্ষমা করে দিতে?
আমি কি বুঝি না ভেবেছেন? ভেবেছেন আপনাকে দেখতে না পেলে ভুলে যাবো এই বাউণ্ডুলে প্রেমিক?
জানেন? ইদানীং বাতাসকেও আমার ঈর্ষা হয়!
ঈর্ষা হয় আকাশের গাঙচিল কিংবা মেঘেদের। তারা কতো সহজেই আপনার শহরে যেতে পারে, থাকতে পারে রওজার কাছাকাছি। আমিই কেবল এখানে আপনার প্রেমে মশগুল হয়ে থাকি, ইচ্ছে করলেই না পারছি আপনাকে দেখতে, না পারছি আপনার শহরের জান্নাতি ঘ্রাণে নিজেকে মাতোয়ারা করতে!
আচ্ছা, আপনি কি এই কাকুতি মিনতি করা অবুঝ প্রেমিকটার স্বপ্নে একটাবার আসতে পারেন না?
আসতে পারেন না আপনাকে দরুদ পাঠাতে পাঠাতে ফজরে হেলিয়ে পড়া সা’নি ঘুমের স্নিগ্ধতায়?
নাকি আপনাকে দেখবার হাহাকার বুকে নিয়ে আরো পাগলামো করবো মোনাজাতে? অপেক্ষা করবো হাউজে কাউসারের পাড়ে আপনাকে দেখতে পাবার সেই প্রতীক্ষায়?