তোমার কাছে একটি কবিতা ভিক্ষা চাইছি-
সম্পদ নয়, শৌর্য নয় – কেবল একটি কবিতা প্রভু।
এমন একটি কবিতা দাও-
যার শানিত শব্দস্রোত যেন ওদের বুকে গিয়ে বেঁধে,
যাদের কাছে বেঁচে দিতে বাধ্য হয়েছি ঘাসের মত সবুজ আমার স্বপ্নগুলোকে।
এমন একটি কবিতা দাও-
যার পদ্যময় শোনিতস্রোতে ওদের ভাসিয়ে নিয়ে যেতে পারি
বানের জলে ভাসা পিপড়ের মত।
কিংবা পদদলিত করতে পারি –
যেভাবে আমি এবং আমার রুগ্ন চেহারার পূর্বপুরুষেরা হয়েছিলেন
হাজার বছর ধরে।
আমার পূর্বপুরুষের লোহিত রক্তে ওদের হাত রঞ্জিত যে-
সেই হাত , যে হাত অসীম ঘৃনার আগুনে পুড়িয়ে ফেলে প্যালেস্টাইন-
অশীতিপর বৃদ্ধ খরা হয়ে যাওয়া চোখে দেখে পুড়ে যাওয়া তারই মাতৃভূমি,
আর দেখে দগ্ধ হওয়া জোয়ান ছেলের বিকৃ্ত লাশ।
সেই হতভাগ্য বৃ্দ্ধের কসম কেটে বলছি ,
আমার কবিতা দাবানল হয়ে জ্বালিয়ে দিক সেই সব হাত।
ওদের কফিনের শেষ পেরেকের উপর ,
আমার কবিতা ঝাঁপিয়ে পড়ুক অসীম আক্রোশে ।
অতঃপর আমি শান্তি চাই,
এই ঘৃনার বলয় থেকে বের হতে চাই প্রভু!
যেদিন সেই প্যালেস্টাইনিয়ান বৃ্দ্ধ –
ঐ ঘৃনায় ভরা চোখগুলোর দিকে তাকিয়ে বলবে,
“তোরা পশু – দূর হ হতভাগার দল-“
যেদিন কোন পিতা আবর্জনার স্তুপে তার অপহৃতা মেয়েটির লাশ খুঁজে বেড়াবে না-
কিংবা সেই টোকাই ছেলেটি,
যার বাস চাপা পড়ে মরে যাওয়ার কথা ছিলো অনেক আগেই,
সেও অন্তত একবেলা খেয়ে এক মূহুর্তের জন্য ভাববে,
আসলে জীবনটা খারাপ না!
সেই দিন- প্রভু – সেইদিন আমি আনন্দের গান গাইব,
আমার কবিতায় টিনের চালে বৃষ্টির অপূর্ব সেতার সংগীতের মত ঝড়ে পড়বে ভালোবাসা।