অতিপ্রিয় অনধিকার!
খুব কাছে এসো না , প্রিয়তমা!
দূর থেকে তোমায় দেখি এইত ভালো।
ধরো কোন এক ঘোর বর্ষায় কাক ভেজা হয়ে চায়ের ঝুপড়িতে,
কিংবা সারাদিনের ব্যর্থ ক্লান্তির পর ঘুমুতে যাবার ঠিক আগে –
তোমার চুল , তোমার চোখ, ভাববো হয়ত।
পরক্ষনে সচেতন অপরাধেরা জানি এসে কড়া নাড়বে সজোড়ে!
ভবিতব্যের মত মস্তিষ্কের গহীন থেকে ভেসে আসে হাহাকার,
চালের বাজার দর মনে আছে তো?
মনে আছে তো কাল আবার যেতে হবে অবধারিত যুদ্ধে?
দস্যু বর্গীর মত ধেয়ে আসে অভাব-
ভালোবাসাকে কোথায় জায়গা দেব ?
হৃদয়? সে তো কবেই পুড়ে খাক হয়ে গেছে !
মস্তিষ্ক ? সে তো যাপিত জীবনের দাসত্বকে স্বীকার করে নিয়েছে সেই কবেই!
প্রবল যান্ত্রিক জলোচ্ছ্বাসে ঘোর কেটে যাবে আমার,
তোমায় মনে হবে ভ্রম!
ছেলেবেলার মায়ের বলা দুঃখী রাজকুমারীর গল্প-
যাকে উদ্ধারের জন্য পাড়ি দিতাম সাত সমুদ্র!
তুমিই কি সেই কল্পনা?
তবু তুমি কত কাছে – হাত বাড়ালেই যেন ছোঁয়া যাবে তোমার হাত!
কিন্তু পারি না যে-
আমার হাত টেনে ধরে অজস্র শেকল,
আমার পথ রুদ্ধ করে দেয় হাজারো অনধিকার!
যে অনধিকার তোমার হাত ছুঁতে দেবে না,
যে অনধিকার তোমার কাছে আসতে দেবে না কোনদিন,
যে অনধিকারের চোখ রাঙানীতে আমি ভীত হব,
যে অনধিকারের ভয়ে আমায় লুকিয়ে ভাবতে হবে,
তোমার কথা, তোমার স্বর , তোমার স্বপ্ন!
তবু এই অনধিকার আমার মধ্যে লালিত হয় পরম মমতায়।
তবু দিনশেষে ঘুমের ঘোরে নিজেকে বলতে হয়,
বেশি কাছে এসো না প্রিয়া,
পুড়ে যাওয়া হৃদয়ভূমিতে শ্রাবন-বর্ষন আর এনো না!
10:34 PM.
5 March, 2023.