আমার ভিতর আমি উপরে আমার ছাদ , আশপাশে বুভুক্ষ দেয়াল প্রতিশ্রুতিহীন বিলাপ।
শিথানের নিচে আকাশ, বুকের বা’পাশে গাছ
চোখের উপর কালো বলয়ের অন্ধ তীরন্দাজ
আমার পাশে আমি, রংহীন কারুকাজে
কাজবাজ ফেলে পায়ের নিচে পাথুরে মেঠেল ঘাস
বুকের ডানে আমি, নিস্তব্ধ প্রতিধ্বনি
আরো কিছুকাল বিষাদ মাখা নদীর কাছে ঋণ
আরো কিছুকাল অম্লজানে অম্লমধুর দিন
অল্প ছায়ার বিস্তারে ঢাকা ফণীমনসার ঝোপ
অল্প কিছু পাতার কাছে জন্মান্তরের শোক ।
মানুষ এমন কাঁদে !
স্মৃতি ও বিস্মৃতির কাঁপনে কেঁপে ওঠে সবুজ পাতা
রৌদ্রের নিপাট ভদ্রতা!
কপাট খুলে হুড়কো-খিলে মুহূর্তের ভাবালুতা
মানুষ এভাবে ডাকে!
বিধ্বংসী মমতার বিকাল নুয়ে পড়ে উল্লাসে
সন্ধ্যা যাপন এমন !
কামিনী সাদায় বিষাদ মেখে অন্ধকারে যাপন
মানুষ এমন বলে !
আর কিছুদিন থেকে গেলে সম্প্রীতি বাঁচে ভালো!
আমার উপরে আমি, বিস্তৃত ছাদের খিলান। তারকা জ্বলে জ্বলে ভ’রে গেছে সমস্ত আকাশ! কোথাকার কোন সান্ধ্য কালের মায়াকানন সুন্দর সহাস্য মুখে প্রতিশ্রুত শোকে বলে যায়; ভালো থাকাই এমন ।
আমাকে নেয়নি আকাশ, ছায়ার বিস্তারে কাঁটার বিন্যাস
গাছেদের শিকড়ের অস্তিত্ব, রংয়ের ইন্দ্রজাল।
আমাকে নেয়নি নদী, বুকের স্রোতে স্বল্পবসনা খরস্রোতার ভাঁজ, সবুজ মাখা দুইফালি অলিন্দে শ্যাঁওলার কারুকাজ।
আমাকে নেয়নি গ্রহান্তরের রাত, ছোঁয়নি প্রতিধ্বনি
আমাকে নেয়নি সঙ্গ সাধনা, নিঃসঙ্গ জানালাখানি
পায়ের তলে ঘাস নেয়নি, বুকের ভিতর শ্বাস
খুন হয়ে যাই জন্মান্তরেও, অন্ধ তীরন্দাজ ।