তুমি শান্ত সমুদ্রের তীরবর্তি ঢেউ।
তুমি উদাসীন চরিত্র মোহ ।
তুমি রাগহীন ভীষণ মেজাজী।
তুমি বিস্ময় প্রকাশ আল্লাদী।
তুমি অন্ধকার হয়ে আলো।
তুমি সুন্দর অচেনা নারী!
তুমি চঞ্চল হয়ে ওঠো ভারী।
তুমি সাধারন মানুষ।
তুমি তেজি দূরভেদ হুংকার।
তুমি দুর্বার গতিতে চলতে থাকো।
তুমি এগিয়ে যেতে হাত দুটো ধরো।
তুমি উন্মাদ বেশে সেজেছো।
তুমি বিশ্বাস করবে সত্যিই নয়তো।
তুমি অন্তরে আছো করছো বসবাস ।
তুমি অপ্রস্তুত লেনিন ভয়ানক সমাজ।
তুমি কবিতা লেখা উন্নতি একনিষ্ঠ ।
তুমি বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল শ্রেষ্ট ।
তুমি কবি রবিঠাকুরের ভেতরে অন্ত চক্ষু।
তুমি কাব্যিক ভাষায় কথা মধুর ।
তুমি জসীমউদ্দীনের নকশী কাঁথার মাঠ ।
তুমি সোনালী সময়ে জাগ্ৰত বাংলা পথ ঘাট।
তুমি কবি মধুসূদনের সনেট আবিষ্কার ।
তুমি কবি সুফিয়া কামালের আন্দোলন উৎস।
তুমি কবি আল মাহমুদের সোনালি কাবিন ।
তুমি বাংলায় ঢেলেছো রং সুপ্রাচীর মলিন ।
তুমি জয়নুল আবেদীনের আঁকা ছবি ।
তুমি ছিয়াওরের মন্নতর বেদনা কাহিনী ।
তুমি জাহানারা ইমামের কাব্য ভাষায় নারীর অধিকার ।
তুমি বেগম রোকেয়া নারী জাগরণে নিবিড় ভাব ।
তুমি কবি শামসুর রহমান উওর কবিতা ।
তুমি জেমসের কন্ঠে তারায় তারায় রটিয়ে দেবো ।
তুমি গুরু আজম খানের কন্ঠে পাপড়ি কেনো বোঝেনা।
তুমি ঝংকার প্রতিধ্বনি বাঁশি পিয়ানো সমাহার।
তুমি আয়ুব বাচ্চু কন্ঠে হাঁসতে দেখো গাইতে দেখো ।
তুমি তাহসান-মিনার কন্ঠে সুমধুর সুর ।
তুমি আধুনিক যুগে সূচনা হয় অচিনপুর ।
তুমি কি বোঝো চোখের ভাষা?
তুমি আমার কাছে অত্যান্ত চাওয়া ।
তুমি কি জানো মায়াবী পৃথিবী ?
তুমি হাঁসলে দারুন লাগে সীমাহীন প্রতিচ্ছবি ।
তুমি কাঁদছো কেন জানিতে পারি?
তুমি চোখের পানি মুছে ফেলে হয়নী কিছু আহামরি ।
তুমি ডুবন্ত সূর্য লালচে রঙের আভা ।
তুমি রাতের আঁধারে উজ্জ্বল তাঁরা ।
তুমি বৃষ্টি হয়ে প্রচার করো বজ্রপাত ।
তুমি মেঘ এতো সুন্দর সৃষ্টি মহান ।