ছবির মধ্যে ঢুকে পড়েছি
যতক্ষণ না শেষ হচ্ছে আঁকা
আমি বেরতে পারছি না
একটার পর একটা ট্রেন চলে যাচ্ছে
ভুবনেশ্বর স্টেশন…
আমি পা রাখব কি তাতে!
আমার হাতের কনুই থেকে পাখি উড়ছে
একটা একটা তারা
লাফ দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে আঙুল দিয়ে
আমার কনুই থেকে আঙুল
পাখি ঝাপ্টাচ্ছে
আর ঠোক্কর, ঠোক্কর
তারার গায়ে।
তারার গায়ে বিধেঁ যাচ্ছে ওরা
আমি পা রাখব কি ট্রেনে!
একেকটা আঁচড় আমার গায়ে
এমন সব দাগ কাটছে
চলে যাচ্ছে একেকটা ট্রেন…
আমার লাগেজ গোছানো আছে
আমার টিকিট কবেই কনফার্মড
ভরা স্টেশনে আমি
এক চুলও নড়তে পারছি না।
একেকটা পেন্সিল
আর একটা একটা রং
যতক্ষণ না ফুরিয়ে যাচ্ছে সব
যতক্ষণ না ভরে যাচ্ছে খাতা
আমি বেরোতে পারছি না
আমি বেরোতে পারছি না
আর চলে যাচ্ছে একটা একটা ভাষা
আমার ভাষা নেই আর কোনও
একেকটা চায়ের দোকাণ
আমার দিকে তাকিয়ে আছে
একেকটা রং
শেষ হতে হতেও হচ্ছে না
ফুটে যাচ্ছে নতুন নতুন তারা
নতুন নতুন চাঁদের খবর
রাখছে আমার কনুই
আর কতরকম যে পাখির ডাক!
আমায় ঘুমোতে দিচ্ছে না
এই আর একটুই বাকি
এই আর একটুই রং
এই আর একটুই ভাষা
এই আর একটুর জন্য
ফস্কে যাচ্ছে একেকটা ট্রেন
“আমি তো বারণ করিনি যেতে”
–একটা তারা বলছে কানে কানে।
“Did I ask you to leave?”
–অন্যজন বলছে তফাতে।
আর পাখি, পাখিগুলো
খ্যাঁক খ্যাঁক করে হাসছে আমার কানে
আমার এক পা শূন্যে
কাঁধে লাগেজ
আমি উঠতে পারছি না
আমি হাঁটতে পারছি না
আমি হাত বাড়াব কি!
নাকের ডগা দিয়ে
বেরিয়ে যাচ্ছে
একেকদিনের শতাব্দী এক্সপ্রেস…
আমি হাতে পাখি
পায়ে চাঁদ
আমি কোমরে একহাজার তারা নিয়ে
দাঁড়িয়ে আছি ভুবনেশ্বর স্টেশনে।
আঁচড় চলছে
এদিক থেকে ওদিক
রং আসছে,
নতুন নতুন রং
ওই একটা নতুন আঁচড়
ঘুরিয়ে দিচ্ছে মোড়
আমি কোথায় যাব?
জানি না।
কোন দিকে?
কোনোদিন কি ফিরতে পারব আমি?
2020-07-10