আশ্চর্য রঙের কৌটো খুলেছি আমি আজ
না, আমার রঙ মাখানোর কেউ নেই, শুধু স্মৃতি এসে
দিয়ে যাচ্ছে একেকটা রঙ, কবেকার সেই পুকুরপাড়ে বসে
যে সারাদিন কেঁদেছিল, একটা লক্ষীপুজোয়, যার আঁচলের হাওয়া
আমাকে ছেড়ে গেছে গত দশ বছর, তাকেই, মনে হয় প্রথম রঙ
দিই; একটু সম্মানের, মর্যাদার রঙ — যা কোনোদিন পেল না সে
না পাওয়াটাকে মেনে নিতে নিতে কোথায় হারিয়ে গেল
আমার জন্মদাত্রী…পাগল করা গানের ছেলে, যার গান শুনলে
তোমরা ঘর ছাড়বে ঠিক, তার জন্য সমস্ত রঙই
কম পড়ে যাবে মনে হয়; কী কী কী রঙ দেব তাকে?
জানিনা। জানিনা তাকে কী দেব যাকে সবচেয়ে বেশি
চেয়েছিলাম এই রঙদোলে।যে আসবে বলে পালিয়েছে…
কয়েকমুঠো কিচিরমিচির দিলাম আমার পাখিটাকে
কবে যে সে আবার উড়ে এসে বসবে আমার পাঁচিলে!
আর আমিও হাউমাউ করে হিসেব দেব আমার কান্নাকাটির
এভাবেই দিন গড়াবে, সন্ধ্যে আসবে, আর আসবে
বিরাট একটা চাঁদ।তুমিও কি দেখছ তাকে? তুমি দেখছ?
তোমাদের আবাসনের ছাদ থেকে, কিম্বা বারান্দা!
তুমি কেমন আছ? যদি সম্ভব হতো ওই অপর মেয়ে হয়েই
আমি যেতাম তোমার কাছে। যাকে তুমি চেয়েছ।
যে তোমাকে ছেড়ে গেছে মুহূর্তে আর ভাঙতে ভাঙতে
কী একটা হয়ে গেছ তুমি আজ। আজ সবশেষে
এই বসন্তের দুর্দিনে আমার সমস্ত সমস্ত সমস্ত রঙ
যা আছে ঘরের কোণায়, বালতির তলানি হয়ে, যা আছে মনে
সব স-অ-অ-ব কুড়িয়ে কাচিয়ে দিলাম তোমার সাদা পাঞ্জাবিতে…
2020-02-21