4.5/5 - (2 votes)

মধ্যরাতে দরোজায় কড়া নাড়ে
কবরের মাটি সরিয়ে উদ্ধত উঠে আসা আমার কঙ্কাল।
তড়িঘড়ি শয্যায় উঠে বসে আমি দেখি
বুকের মাংস যোনির আকারে ফেটে গিয়ে
তৈমুরের তলোয়ারের মতো ঝকঝক করছে
আর তার ভেতর থেকে বিচ্ছুরিত
আমার চোখে দু’ হাজার রমণীমুখ
ঠান্ডা কঙ্কালফুল হয়ে ফুটে উঠলো।
পুতুলের মুখের মসৃণতায় হাত রেখে
একদিন তাকে মনে হয়েছিলো মানুষের অধিক মানুষ
আজ সে মিথ্যে মাটির প্রলেপ মুখে নিয়ে
ছুঁয়ে যায় ভূমধ্যসাগরে ভাসা নাবিকের লাশ।
আমি বুকে হাত রেখে অনুভব করি
অংকুরিত সবুজের লাবণ্যের লজ্জাবতী ধরিত্রীর
প্রথম মাতৃত্ব অতিক্রম করে
চাঁদের সঙ্গমে আন্দোলিত দু’ফাঁক কোমলতায় জন্ম নিচ্ছে
অন্তরীশে প্রবাহিত অগ্নিগিরি, নিহত ভ্রুণের চোখ

আমার বুকে একি যোনি নাকি অর্জুনের ধনুক ?
যমজ ছিলায় উৎক্ষিপ্ত তীরের ঘর্ষণে
মহাকাশে অগ্নিরমণীর কপাল ফাটিয়ে বেরিয়ে আসা
সবুজ পায়রার হৃৎপিন্ড চিবিয়ে খেয়ে
ঠিক তিন বছর পর আমি আত্মহত্যা করে যাবো।

guest
0 Comments
Newest
Oldest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments