আত্মহত্যার আগে আমার নিঃশ্বাসের আগুনে ক্ষয়িষ্ণু
একদিন উৎসব হবে আলোছায়া আমলকি বনে,
সমস্ত ক্রন্দনের বুৎসভূমি ছুঁয়ে প্রবহমান নীরব নদীর ফুঁসে উঠলে
দুকূল
যেখানেই থাকি ফিরে আসবো,
খরস্রোতে অন্ধকারেকারে টালমাটাল জীবন প্রতিবাদহীন ভেসে যাবে
বৈনাশিক নিথর প্রবাসে তার আগে সমস্তই ধুলোখেলা-
কিছুদিন কাঁধে নেবো রাজ্যভার, কী ভেবে আমাকেই যে
উত্তরাধিকারী
মনোনীত করলেন রাজা বুঝি না মাথা মুন্ডু তার
দিগ্বীজয়ী মহারাজের অস্ত্রাঘাতে জজর্রিত স্বদেশভূমি
পাথির্ব উপঢৌকনে তাকে তুষ্ট রাখার রীতিনীতি শিখিনি কিছুই
তবু কী এক ক্রন্দনে বাঁধা পড়ে আছি
হাহাকার শুনলেই ফিরে আসতে হবে-
রাত্রির মাই চুষে সৃষ্টির সবটুকু আঁধার পান করার নেশায়
একজন নির্বাক বসে আছে জন্মাবধি, সে যতো পান করে আধাঁর
জন্ম দেয় তারো কিছু বেশী,
বসন্তদিনেষ আদিগন্ত সাগরতীরে ঘনভার মেঘ ডেকে যায়
কার আকুল কান্নর ধ্বনি জেগে ওঠে অন্তরীক্ষে, চিড় খায়
অনন্ত আকাশ-
কী রাজমুকুট পরবো এ দেশে, ভুল অঙ্গীকারের মাজর্না চাই রাজা
জন্মে নিয়েছি দেহভার বসবাসে যদি অবধারিত রাজ্যভার
তবে পিষ্ট হবো পাথরে-
রাজা তোমার উত্তরাধিকার ফিরিয়ে নাও।