আত্মহত্যারর আগে শেষকথা কী লিখে যাবো এই প্রশ্ন
করে শেষ রাত শেষ আকাশ মাধুরী; শেষকথা কী বলে যাবো
সেই কর্কশ বিদ্যুৎ সবর্শরীর ঢেকে আছে, মেঘাচ্ছন্ন দিন-
কাঁদে বাসভূমি, ছিন্ন চালাঘর
সাম্রাজ্যশাসন কোনদিনই হবে না আমার
মাঝেমধ্যে যেটুকু দায়িত্ব পাই ছড়িয়ে ছিটিয়ে যাই
অলস নিয়মকানন, ব্যভিচার, দিগন্ত ছোপানো ভঙ্গুর মায়াজাল;
আশৈশব অনিবার্য অনাচারে আনত শরীর ভাসে
শীতকালীন শীতলক্ষা- স্রোতে, সময়ে পঁচে, মেশে নিবির্কার
পবিত্র জলে- জন্ম কেন কথা বলে চোখে এই বিরোধ
তীরে তীরে কম্পমান হিম সংহারে, মর্তধারায়;
আত্মহত্যার আগে শেষ চিত্রলিপি কী দেখে যাবো
এই প্রশ্ন করে জন্মভূ, নগ্ন হয়ে দেখাই রুপান্তরিত জন্মরুপ
বিকলাঙ্গ- প্রবাহে শিথিল যৌনাঙ্গ- বিষ, শৈশবে অমল প্রাসাদে
দায়িত্বহীন রাজত্বসুখ, স্বপ্নসন্ধ্যায় বয়ে যায় সূর্যাস্ত সুষমা
বুকে হেঁটে শেষাবধি এই নদী তীরে, অনাদি মায়াকানন
এখানে নকটু বসি যাবার আগে শেষ দেখি রঙে রঙে কতোটুকু
কম্পমান স্বপ্নশরীর, ছোঁবো না কণামাত্র নপূংশক মাটি
ছোঁবো না পরাধীন সুষমা, , নগ্ন হয়ে দেখাই রুপান্তরিত জন্মরুপ
পরান্ন- প্রবাসে এই অধিকার।