বিষণ্ণ দুঃখের পেয়ালায় জমে থাকা সরগুলো যেন অতীত স্মৃতি। বিস্মৃতির অতলে হারিয়ে যেতে যেতে ভাসে ফুঁ লাগা ঢেউয়ে। ধোঁয়াগুলো যেন লতা হয়ে বেড়ে উঠছে উঁচু পাহাড়ের গা বেয়ে, যেখানে কখনো পৌঁছুনো যাবে না। সে লতায় যদি ফোটে ফুল, আনা যাবে না ছিঁড়ে। পিচ্ছিল সে পাহাড়ের পথে অজস্র শ্যাওলা। চেয়ে চেয়ে দেখি ধোঁয়ার উদগীরণ, ঊর্ধ মুখী হতে হতে ক্রমশঃ মিশে যাচ্ছে মেঘের সাথে। মেঘপুঞ্জ প্রচন্ড গতিতে ধাবমান। বিস্তীর্ণ আকাশের গায়ে ছুটে যাচ্ছে প্রান্তরেখায়, অতঃপর অদৃশ্য হয়ে মিলিয়ে যাচ্ছে দৃষ্টিসীমা পেরিয়ে অন্য কোন দেশের সীমানায়। অমৃত ভেবে দুঃখের বিষণ্ণ পেয়ালায় চুমুক দিতে দিতে সরগুলো পড়ে থাকে তলায়। শূণ্য পেয়ালা, ঢেউ নেই, ধোঁয়া নেই। গলা বেয়ে পাকস্থলীতে নামা সেই জল অমৃত ছিল না। নীল বিষে ছেঁয়ে আসে সমস্ত শরীর।প্রচন্ড ইচ্ছে জাগে কেউ একজন মাথায় হাত রাখুক। ঠোঁটের সামনে বাড়িয়ে দিক একগ্লাস শীতল জল, একটা গাঢ় চুমু খেয়ে বলুক, এই আমি শুষে নিলাম তোমার সমস্ত বিষ। ক্ষীণ হয়ে আসা দৃষ্টি ছাপিয়ে আবার দেখতে পাচ্ছি একটি সবুজ পাহাড়, সতেজ পাতায় মোড়ানো লতা, নীল আকাশের বুকে স্থির হয়ে থাকা সাদা মেঘ যেন তুলতুলে নরম এক সুখের শয্যা।
2022-03-06