ওই যে দেখছো সুশোভিত উপমহাদেশ,
এইই আমার মা।
ওই যে দেখছো বরফের ঘোমটা লাগিয়ে,
লাজে রক্তিম হয়ে সাদা সফেদ সুন্দরী,
উনি আমার মা।
ওই যে দেখছো ভারত মহাসাগরে পা দুলিয়ে
দুলিয়ে বসে আছে,
উনি আমার মা।
ওই যে দেখছো না, মিছিল -শহরটাকে
আঁচল করে যিনি হেঁটে চলেছেন
উনি আমার মা।
ওই যে দেখছো কচির কচ্ছের রান থেকে কলসিটা,
কোমরে দুলিয়ে দুলিয়ে দিয়ে হেটে বেড়াচ্ছেন…
উনি আমার মা।
আসমুদ্রহিমাচল উনার বিচরণ ক্ষেত্র।
তিনি কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী হেঁটে চলেছেন,
কলকাতা থেকে কচ্ছের রন হেঁটে চলেছেন,
সর্বত্র বিরাজমান,সর্বজয়া ভারত বর্ষ আমার মা।
তিনি সুন্দরী সুলোলিত আমার মা,
তিনি সুন্দরী সুলোলিত আমাদের মা।
মাকে দেখে আমরা হাতজোড় করে বলে উঠি,
বন্দেমাতরম, বন্দেভারতম।
কখনও বা তিনি মহীয়সী মহতা জননী।
বহু দেশকে সাহায্যের জন্য ভ্যাকসিনে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন,
তিনি আমার মা।
কখনও বা রাগে লাল হয়ে রক্ত গরম করে, কাশ্মীরের উপর পা রেখে
চিৎকার করে বলে ওঠে –
“জঙ্গিরা শুনে রাখ ,
তোমরা কখনই আমাদের দেশে ঢুকতে পারবে না।
যদি চেষ্টা করো তবে —
আমার সন্তানেরা তোমাদের চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেবে।”
তিনি কখনও বা সর্বশ্রী ভারতমাতা,
তিনি কখনও বা সুন্দরী সর্বজয়া ভারতমাতা,
কখনও বা তিনি বীর প্রসবিনী জননী ভারত মাতা।
যেখানে কত ধর্মের লোক, কত বর্ণের লোক,
কত ভাষাভাষীর লোক,
আনন্দের শান্তির আশ্রয় নিচ্ছে পাখির বাসার মত।
তিনি সবারবউদ্ধারকর্তা,
তিনিই আমার ভারত বর্ষ ভারতমাতা।
তাই বলি -“ওগো আমার মাতা,
আমার ভারত বর্ষ, ভারতমাতা।
জয়হিন্দ, সারে জাহা সে আচ্ছা “