হৃদয়ের ব্যাথা
****************
সুজিত কুমার ভৌমিক
সোমবার ভোরে,কাকমাখা ভোরে,
হঠাৎ তাকিয়ে দেখি।
এক ছোট শিশু,পাপহীন যিশু,
কাধেঁ ভারী ব্যাগ একী?
বলিলাম তারে,ওহো-আহারে,
কোনক্ষানেতে পড়?
আধো আধো মুখে,হাসিহীন সুখে
বলিল-“ইকুল বড়।”
চোখে এল জল,ভাবিয়া সকল,
ভবিষ্যৎ কী এরা?
না পেল খেলা,সকাল বেলা,
কিম্বা দুপুর সারা।
ঠাম্মার কোলে,চুমুভরা গালে
ঘোড়া হবে দাদুভাই।
বলিবে সে হেসে,দীশাহীন বেশে,
“তোল পীঠে আমি যাই।”
এইসব দিনে,অতীত স্মরনে,
কতো করেছি মজা।
সকলেতে খেলা,শিশুসব মেলা,
হো-হো,হা-হা,হি-হি তাজা।
কিছুপরে তার,প্রবেশ মাতার,
বিষচোখে দেখে মোকে।
সুন্দরী অতি,লাজহীন সতী,
মেরে মেরে তাকে বকে।
শুধালাম তারে-“ওগো মাতা ওরে,
শিশুটির এত চাপ!
দাও তারে ক্ষন,খেলিবার সন,
করে দাও তারে মাফ্।”
বলিল সে ভেবে-“এখানেতে সবে,
এই ভাবেতেই পড়ে,
তুমি সেকালের,বৃদ্ধলোকের,
কিছু নেই তোমা ভাঁড়ে।
ওই যে বাটি,যমজ দুটি,
এর থেকে ও ছোটো।
ওরা করে ভালো,পড়ায় আলো,
এ কেন হবে খাটো?”
বুঝিলাম এতে,মনের অমতে,
সম্মান হেথা বেশী।
শিশুটির কথা,হৃদয়ের ব্যাথা,
এ সবই পচাবাসী!
চলেগেল সে,মাতার সাথে,
ফিরে ফিরে মোকে দেখে।
আমি অসহায়,দেখি চলে যায়,
স্নেহাতুর যাদু মেখে।