প্রিয়তমা,
আমি তোমার আকাশ বলছি।
তুমি প্রশ্ন করেছিলে, আমি ঠিক কেনো তোমাকে চাই,
কবিতা নাকি প্রেমের জন্য?
যদিও আমার কাছে কবিতা আর প্রেম সমার্থক
তবুও অনেক ভেবে দেখলাম, আমি আসলে তোমার জন্যই তোমাকে চাই!
হ্যাঁ, ঠিকই শুনলে!
আমি তোমার জন্যই তোমাকে চাই।
আমি দেখেছি এক চিলতে আকাশের জন্য কতো পাখি অনবরত ডানা ঝাপটায়…
দেখেছি চোখভর্তি ধূসর রঙা মেঘ নিয়ে কতো পাখির বিষাদযাপন
প্রিয়তমা, তুমি আমার সেই পাখি, আমি যার ব্যাক্তিগত আকাশ!
বরাবরের মতোই আমি আকাশ হতে চেয়েছি
বুকে রেখে দিতে চেয়েছি একদল পরিযায়ী মেঘ
আমার অসীম শরীরে ঠাঁই দিতে চেয়েছি কত নক্ষত্রের
মৃতদের ডুবে যেতে দিয়েছি আমার আড়ালে।
তবে আমার পুরোদমে আকাশ হয়ে ওঠা সেদিন থেকে, যেদিন নীল দেয়ালে তুমি আমার ওপাড়ে দাঁড়ালে!
আমি দেখলাম, জোছনায় ভেসে যাচ্ছে তোমার মেঘের শরীর!
আমি দেখলাম, চার দেয়ালে ডানা ঝাপটে মরছে আমার সুখপাখি।
ঠিক সেদিন থেকে, তিল তিল করে আমি হয়ে গেলাম আকাশ।
প্রিয়তমা, তুমি আমার সেই পাখি আমি যার ব্যাক্তিগত আকাশ!
তুমি আমাকে বহুবার ফিরিয়ে দিয়েছো প্রিয়তমা
বলেছো, তোমার আগুনে অকারণ পুড়ে ছাই হবো আমি
তবে আমি কিন্তু এক চুলও নড়িনি।
ফিরে যাওয়া আকাশের স্বভাবে নেই,
দাঁড়িয়ে থাকে ঠায়।
মৃত্যু বুকে নিয়ে বাঁচে যে রোজ
মৃত্যুতে তার কী বা আসে যায়?