বরাবরই বৃহত্তর আকাশে উড়তে চায়
সাধক ও কবির অপার্থিব হাঁস
তবে আটকে ছিল সংসারের খাঁচায়।
বোঝে না,কী আনন্দ আছে এমন বাঁচায়!
অবাকে ভরা অস্তিত্বের নেই কোনো
তথাকথিত শুরু বা শেষ
কার যেন ফুঁয়ে ফুরিয়ে যাওয়ার পরে
না পাপ না পুণ্য
বা বাসনা অগণ্য
বা কোনো সঙ্গতি সঙ্গে থাকে না
অনন্তের হাঁস গায়ে কালি মাখে না
কী ভীষণ সাদা হয়ে যায় উড়ে
ওপরে থেকে পৌনঃপুনিক ওপরে।
শোক নয়, পরিতাপ নয়, ক্রোধও নয়
শেষ পর্যন্ত সঙ্গে থেকে যায় শুধু
ছোট্ট জন্মের সীমাহীন বিস্ময়ের রেশ।
কে জানে দেহবন্দী এই জীবনের মানে?
কেউ না তবে কেউ কেউ খুঁজে মরে
কেউ কেউ মানে না খুঁজেই যায় সরে।
জিজ্ঞাসার পর জিজ্ঞাসা, কে দেবে উত্তর?
সমাধান খুঁজতে গিয়ে জগৎ থেকে জগতে
রচিত হয় অসংখ্য সীমিত জনম পরপর।
প্রতিটি জন্মেই বন্দী হয়ে পড়ে অনন্তের হাঁস
গলায় লেগে যায় সংসারের অনিবার্য ফাঁস
বাঁচার নাটকের পরে অমৃতের স্পর্শ হয়ে মৃত্যু এসে
এক সময়ে শেষ করে দেয় অনন্তের পথিকের
সামান্য সাংসারিক অভ্যাস।
এক ফোঁটা জীবনে দু’ ফোঁটা প্রীতির চাষে
শেষ হয় প্রিয় ও অপ্রিয় পরবাস
শেষবিহীন অজানা ঠিকানায় ফিরে যায়
নিষ্কলঙ্ক আত্মা, মুক্তিকামী হাঁস।