বাংলা কবিতা, নিউজপ্রিন্ট কাগজে লেখা কবি’র প্রতিবাদে রাষ্ট্র দাঁড়িয়ে যায় কবিতা, কবি সোয়েব মাহমুদ - কবিতা অঞ্চল
Review This Poem

ষাট পয়সার নিউজপ্রিন্ট কাগজে লেখা কবি’র প্রতিবাদে রাষ্ট্র দাঁড়িয়ে যায়
কবি, কবি’র দাঁড়ানো হয়না সমাজে!
কবি ভুলে গ্যাছে কবে খেয়েছে ভাত পরিবারে,
কবে হেসেছে প্রাণখুলে?

বাবা মাথা হেঁট করে বাজারে যায়,
মা সেলাই করে কবিপুত্র জন্মের কষ্ট।
কবি ভুলে যায় বোন কবে দিয়েছিল শেষ পরিচয়।

প্রেমিকা বলে গেছে যাবার সময়-
উঠতে পারলে ষাটপয়সার কাগজ থেকে দেখা করে বিয়ে খেয়ে যেও পরবর্তী সয়ম্বর সভার।

কবি বসে থাকে রোদ জর্জর চোখে, মশাল জ্বলা বুকে।
চায়ের দোকানের খিস্তি খেউরে অথবা তীব্র আর্তনাদে।
শহর গড়ায় সভ্যতায়।
রাষ্ট্র দাঁড়ায় বিনির্মাণের উন্নয়নে,
কবি দাঁড়াতে পারেনা,
কবি হাঁটতে পারেনা বুকে ব্যাথা খুব।

কবি’র আঙ্গুলে দাঁড়ানো পতাকা উপহাস করে,
কবি বাড়ি ফেরেনা
ঘর হারানো লোকমুখে শোনা কালো কৌতুকে।

রাস্তায় মাঝে দ্যাখা হয় কিছু
ফেরীওয়ালা, কায়কাওসের ছেলে অথবা বিব্রত ময়ুরের সাথে।
দ্যাখা হয় বেনিয়া বেশ্যাদের উর্বর স্তনবাহী অনুর্বর যোণীনির্ভর মেদের সাথে।
দ্যাখা হয় ধর্ষক কবিতার পুরষ্কার নেয়া একুশের স্মরণসভা।
দ্যাখা হয় কুকুরের পা তুলে পেচ্ছাপ করা নষ্ট আয়োজিত কবিতা উৎসবের।

এত কিছু দ্যাখতে দ্যাখতে দ্যাখা হয়না,
কবি পিতার মলিন মুখ,
কবি মাতার বিষন্ন চোখ,
বোনের ভেজা আঁচল,
প্রেমিকার ন্যায্য অবহেলা।
কবি বাড়ি ফেরেনা,
কবি মিছিলে যায়, মিছিলে ঘুমায়।
বাবা জেগে থাকে।
কবি পিতারা মারা যান সন্তানের প্রথম কবিতায়।
কবি’মাতাদের আত্মহত্যার কারণ প্রথম লেখা – অ।
তবুও কি থামে কবি, থেমেছে কি কখনও?

জনতার আগুন কলমে নিয়ে অধিকারের দাবীতে লেখা ফেষ্টুন,
প্রেমিকার ওড়নায় আদায়কৃত নামাযের কারণে ব্রাত্য সে
সামাজিক সাপ্তাহিক বাজারের ছোট ফর্দে।

তবুও থেমেছে কি কখনও মহানায়ক!

কবি পিতারা কবি জন্মের অভিশাপে বন্ধ করেছেন যৌনক্রিয়া
কবি মাতারা রুদ্ধ করেছে পথ জরায়ুর।
তবুও কিছু কি এসে গ্যাছে কবিতার?

আর তাই
জনশ্রুতি আছে একজন কবি’র , একজন মহানায়কের লাশ ঈশ্বর অগ্রাহ্য করেছে সহস্রবছর আগে।
জনশ্রুতি আছে পচে গলে যাওয়া কবি মৃতদেহ হয় দূর্দান্ত জৈব সার।

guest
0 Comments
Newest
Oldest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments