তোমাকে দেখা হয়নি অথচ তুমি বিষন্নতার মতন তীব্র এবঙ
একমাত্র স্বচ্ছ বোধে বাঁধো আমায়, আষ্টেপৃষ্ঠে ।
একদিন খুব ভোরে বায়ে শুয়ে থাকা তোমায় দ্যাখে ঘুম ভাঙবে আমার।
একদিন খুব ভোরে টেনে নেবো চায়ের কাপের সাথেই তোমার হাত।
একদিন খুব ভোরে মুখ ধোবার আগেই তুমি ছুঁয়ে দেবে নাক,
ঠোঁট কপালের বলিরেখা।
একদিন খুব ভোরবেলা সারারাত জেগে থাকা চোখ জোড়া ক্লান্তিহীন
মিছিলে হেঁটে যাবে ।
একদিন খুব ভোরবেলা তুমি জানবে তোমার চারপাশ ঘিরে থাকা আশ্চর্য হাততালি
তোমাকে বাঁচাবেনা,
তুমি জানবে প্রতিবাদী মুষ্ঠিবদ্ধ হাত কখনও মিথ্যে বলেনা।
একদিন যখন তুমি জানবে, বুঝবে সব সত্য তখন কোপার্নিকাসের
মৃত্যুর সাতশো বছর পেরিয়ে যাবে।
একদিন তুমি দেখবে বগলে বাইবেল নিয়ে হেঁটে হেঁটে সাম্যবাদের গান
গাইতে থাকা এরিষ্টটল মিথ্যের ভারে ন্যুজ্ব।
অথচ ঠিক সাতশো বছর পেরিয়ে গ্যাছে প্রিয়তমা।
তখন বুঝবে এই কবিতার শুরুতে বর্নিত বাক্য গুলো
বায়ে শুয়ে থাকা তুমি, চায়ের কাপ, অনাবৃত স্তন, নিরাভরন শরীর,
শরতের যোনীফুল সবটাই, সবটাই মুড়ে রেখেছিলাম যে বিশ্বাসে,
তাকে তুমি খুন করেছো নিজহাতে , আলোর ধাঁধায়।
মরিচিকাসম হিপোক্রেসিতে।
একদিন ঠিক নবশতাব্দীর দ্বিতীয় দশকে আমি আবার জন্ম নেই,
একদিন ঠিক পূর্বজন্মের মতই তুমি এবঙ তোমরা আবার খুনী হয়ে ওঠো ,
আবার প্রিয় হয়ে ওঠে লাশের উপর ভনভন করা মাছি,
প্রিয় হয়ে ওঠে শস্যক্ষেতের উপর থাকা পঙ্গপাল।
একদিন অথবা সবদিন ঠিক আগেকার ইতিহাসের মতন
মেয়রের অবিশ্বাসী দৃষ্টির ভারী বৃষ্টিপাতে যোনীর অনাহুত গর্ভপাতে
তুমি এবঙ তোমরা মা হয়ে ওঠো সন্তানের খুনী হয়ে।
তোমাদের চোখের নষ্টামোতে একজন ম্যাজিশিয়ান
একজন ভ্যানগগের মৃত্যুতে সিগমুন্ড ফ্রয়েড অহঙ্কারী হয়ে উঠেন
শিষ্টাচারী মনোউপনিবেশিক বিজ্ঞানে।।
একদিন আবার হয়তো কেউ এখানে নয় ওখানে নয়,
তোমার বুক মানচিত্রে একটা স্বাধীন পতাকায় গর্বিত কবিতা লিখে
দেবার দায়ে তোমাদের সমাজেসমাজচ্যুত হয়ে ক্রুশবিদ্ধ যিশু হয়ে ঝুলবে।
এটাই কবিতার নিয়ম, সত্যের নিয়তী।
তাই আবার কখনও জন্মালে আমি;
প্রেমিক নয় মানুষ হয়ে, শাদা শার্টের মানুষ হয়েই জন্মাবো নিশ্চিত।